আমরা এতদিন ফ্লোটিং রেস্টুরেন্ট (Floating Resturant) বলতে বুঝলাম বিদেশের কোন জায়গা। কিংবা ফ্লোটিং রেস্টুরেন্ট দেখতে হলে যেতে হতো কাশ্মীর, ওড়িশা বা কেরালা। মূলত দুবাই, ফিলিপাইনস, মালদ্বীপ বা শ্রীলংকা এইসব দেশেই ফ্লোটিং রেস্টুরেন্ট (Floating Resturant) একটি বিখ্যাত কনসেপ্ট। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে বসেও যে সেই আমেজ, সেই মজা চেটেপুটে উপভোগ করা যাবে তা এতদিন বাঙালির ছিল ধারণার বাইরে।

শীতকাল মানে ঘোরার সময়
শীতকালের মূল আকর্ষণ হল ঘুরতে যাওয়া, তা সে দূরেই হোক বা কাছে। শীতের আমেজ গায়ে মেখে মানুষ সব সময় পছন্দ করে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়তে, তবে ভ্রমণ সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করে নিজের সামর্থের উপর। কেউ চলে যায় পাহাড়ে কিংবা সমুদ্রে, আবার কেউ কেউ কাছে ঘুরেই শখ পূরণ করে।
চলুন বেড়িয়ে আসি
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলাগুলোতে ছড়িয়ে আছে নানা আকর্ষণীয় ভ্রমণের জায়গা। যারা দূরে কোথাও যেতে পারেন না তারা সহজেই ঘুরে আসতে পারেন এই জায়গাগুলোতে। শুধুমাত্র যারা ভ্রমন করতে ভালোবাসেন তাদের জন্য না, যারা খাদ্য রসিক তাদের জন্যও আছে সুখবর।
ভাসমান রেস্টুরেন্ট (Floating Resturant)
বহরমপুরে এবার নতুন করে চালু হচ্ছে ভাসমান রেস্টুরেন্ট। বিগত বছরের শেষ দিন বহরমপুরের মানুষকে এই রেস্টুরেন্ট উপহার দিলেন বহরমপুরের পৌরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়। হাতের মুঠোয় এরকম চমৎকার একটি উপহার পেয়ে খুশি বহরমপুরবাসী। নতুন বছরের আনন্দ তাই উপভোগ করতে পারবেন ফ্লোটিং রেস্টুরেন্টের মাধ্যমেই।
মধ্যবিত্তের সহজ গন্তব্য
বন্ধুবান্ধব কিংবা পরিবারের লোকজনের সাথে সহজেই বছরের শুরুটা কাটাতে পারবেন এখানে। ভ্রমণপিপাসু তথা খাদ্যরসিক মানুষের কাছে এ যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেয়ে যাওয়ার মত। এই রেস্তোরাঁতেই আপনি বিভিন্ন পদের স্বাদ গ্রহণ করতে পারবেন। আপাতত এই রেস্তোরাঁতে থাকবে ৪০টি বসার জায়গা। তবে এই রেস্তোরাঁর প্রতিটি পদের দাম মূল্যায়ন করা হয়েছে মধ্যবিত্তের কথা মাথায় রেখেই।
উদ্যোগে বহরমপুর পৌরসভা
ধনী অথবা গরিব সবারই হাতের নাগালে এই রেস্টুরেন্ট। তাই ফ্লোটিং রেস্টুরেন্টের স্বাদ নিতে একবার ঘুরে আসা যেতে পারে বহরমপুরের এই স্থানটিতে। সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে যে, কয়েক বছর আগে পরিবহন দপ্তর থেকে দুটি লঞ্চের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বহরমপুর পৌরসভাকে উপহার হিসেবে দেওয়া হয় এই লঞ্চ দুটি। তবে পুরো বোর্ডের উদাসীনতার জন্য এই লঞ্চ দুটির কোন সদগতি করা হয়নি।
সবুজশ্রী
এমপির সবুজশ্রী লঞ্চটিকে রাখা হয়েছিল পর্যটকদের নদীপথে জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান দেখানোর জন্য ও ফেরি সার্ভিস এর কাজে লাগানোর জন্য। কিন্তু সেই কাজটিও সম্পূর্ণ করা হয়নি। ফলের লঞ্চটি গোপালঘাটের ভাগীরথীতে ভেসে থেকে নষ্ট হচ্ছিল। সেইটি পৌরসভার উদ্যোগে এখন ভাসমান রেস্টুরেন্ট (Floating Resturant)। কাছে হোক কিংবা দূরে ভ্রমণপিপাসু মানুষ ঠিকই পৌঁছে যাবে এই আকর্ষণীয় স্থানে।
এরকম ভ্রমণসংক্রান্ত আরো খবর জানতে বেঙ্গলি নিউজ ৩৬৫ এর পেজগুলি ফলো করুন।