Libya floods: বিধ্বস্ত লিবিয়া, বন্যায় মৃতের সংখ্যা ৫৩০০, নিখোঁজ ১০ হাজার

Libya floods: বিধ্বস্ত লিবিয়া, বন্যায় মৃতের সংখ্যা ৫৩০০, নিখোঁজ ১০ হাজার

Libya floods: ১৩ ই সেপ্টেম্বর লিবিয়ায় ঘটে গেছে এক ভয়াবহ বন্যা। ভারী বৃষ্টিতে দুটি বাঁধ ভেঙে বন্যার জল ছড়িয়ে পড়ে পুরো দেশে। জানা গিয়েছে বন্যায় লিবিয়ার দেরনা নামে এক শহর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে এখনও অবধি ৭০০ মৃতদেহকে সমাহিত করা হয়েছে। তবে সারা দেশে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৩০০ ওপরে এবং নিখোঁজ ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ। ইতিমধ্যে উদ্ধারকার্য শুরু হয়ে গেছে। তবে সত্যি কথা বলতে গেলে বেশ কিছু শহর বন্যার জলে পুরোই ভেসে গেছে। সময় যত এগোচ্ছে মৃতের সংখ্যা আরও বেড়েই যাচ্ছে ।

লিবিয়ায় বন্যার কারণ /Reason behind Libya floods

ঘটনাটি ঘটেছে আফ্রিকার লিবিয়া নামক দেশে। ‘ড্যানিয়েল’ নামে এক শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় লিবিয়ার ওপর আছড়ে পড়ে। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে দুটি বাঁধ ভেঙে সারা জায়গায় জল ঢুকে যায়। ফলে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসে। চোখের পলকে একের পর এক শহর জলে ভেসে যাচ্ছে। লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওসমান আব্দুল জলিল জানিয়েছেন, ‘পরিস্থিতি ভয়াবহ’।

শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। দেরনা নামক শহরেই নাকি মৃত্যুর সংখ্যা ২৩০০। অনুমান করা যাচ্ছে, দেরনায় অনেক মৃতদেহ এখনও ধ্বংস স্তুপের নীচে পড়ে আছে কিংবা সাগরে ভেসে গেছে। সরকারের পক্ষ থেকে অনুমান শুধুমাত্র দেরনাতেই মৃতের সংখ্যা ৬০০০ ছাড়াতে পারে।

Libya floods causes massive destruction / লিবিয়ায় বন্যা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি চালিয়েছে
Libya floods causes massive destruction / লিবিয়ায় বন্যা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি চালিয়েছে

বর্তমান পরিস্থিতি

সূত্র মারফৎ খবর, বর্তমান পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। উদ্ধার কার্যের কাজ যতই এগচ্ছে মৃতের সংখ্যা ততই বেড়ে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী ওসামা হামাদ বলেছেন, “দুটি বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় নিখোঁজদের অনেকেই ভেসে গেছে এবং তাদের বেশিরভাগের বেঁচে থাকা সম্ভবনা কম।” বসতিহীন হাজার হাজার পরিবার লিবিয়া সরকারকে তাদের পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক শহর

ক্ষতিগ্রস্ত তালিকায় দেরনা ছাড়াও যে বাকি শহরগুলি রয়েছে তা হল বেনগাজি, সুসা, মারজ এবং শাহাত। তবে সব থেকে বেশি ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে বেনগাজি ও দেরনা শহর। লিবিয়াতে বন্যায় (Libya floods) ক্ষতিগ্রস্থরা পূর্ব লিবিয়ার বেশ কিছু স্কুল ও সরকারি ভবনে আশ্রয় নিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও আপডেট পাওয়া যাচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০০০০ মানুষকে নিখোঁজ বলে ঘোষনা করলেও অনুমান করা হচ্ছে কমপক্ষে ৪০০০০ মানুষ এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে।

আরও পড়ুন -> Baba Vanga: পৃথিবীর ভয়ংকর পরিস্থিতি, বাবা ভাঙ্গা-এর ভবিষ্যৎবাণী

ত্রাণ

বর্তমানে সবাইকে সেফ জোনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যতটা সম্ভব ত্রাণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশ্ববর্তী দেশগুলো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে মিশর, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমীরশাহি, জারমানি, ফ্রান্স, ইতালি সহ বিভিন্ন দেশ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ত্রাণ পাঠানো হয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থা রেড ক্রসের তরফ থেকেও।

চীনের সাথে সাদৃশ্যতা

লিবিয়ার বন্যার (Libya floods) মতই অতীতে ভয়াবহ বন্যার শিকার হয়েছে চীনও। ভারী বর্ষনের ফলে চীনের দক্ষিনাঞ্চলে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। চীনের ভাষায় এই ঝড়ের নাম ছিল ‘হাইকুই’। এই ঝড়ের ফলে ১৩৬০ জন আটকা পড়েছিল এবং ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ৭ জনেরও বেশি। অন্যদিকে, চীনের গুয়াংডংয়ের মাওমিং শহরে একটি খামার থেকে ৭০ টি কুমির বের হওয়ার ফলে সারা শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। প্রবল বর্ষনের ফলেই এই রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।


এই ধরনের আরো খবর পেতে চোখ রাখুন বেঙ্গলি নিউজ ৩৬৫ এর পাতায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *