Smallest Country in the World: পৃথিবীর কোন ছোট দেশের কথা জিজ্ঞাস্যে আসলে সবার আগে আমাদের ভ্যাটিকান সিটির কথাই মাথায় আসে। কিন্তু জানা গেছে যে, ভ্যাটিকান সিটির থেকেও অনেক ছোট ছোট দেশ রয়েছে। পৃথিবীর সবথেকে ছোট দেশের নাম হলো ‘প্রিন্সিপালিটি অফ সিল্যান্ড‘, যার আয়তন এবং জনসংখ্যা ভ্যাটিকান সিটির থেকে তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম।
Smallest Country: ‘প্রিন্সিপালিটি অফ সিল্যান্ড’ দেশটির অবস্থান
‘প্রিন্সিপালিটি অফ সিল্যান্ড’ দেশটি সংক্ষেপে ‘সিল্যান্ড’ নামে পরিচিত। এই দেশটি ইংল্যান্ডের উপসাগরে অবস্থান করেছে। সমুদ্রের তীরবর্তী অঞ্চল থেকে এই দেশটির দূরত্ব ১০ কিলোমিটার। আয়তনে প্রায় ৫৫০ বর্গ মিটার। দেশটি আয়তনে ছোট হওয়ায় দেশটিকে ‘মাইক্রো নেশন‘ও বলা হয়ে থাকে।

প্রচলিত ভাষা ও মুদ্রা
ইংল্যান্ডের এই পার্শ্ববর্তী ছোট্ট রাষ্ট্রে সবাই ইংরেজিতেই কথা বলেন। এখানকার প্রচলিত মুদ্রার নাম হল সিল্যান্ড ডলার। কিন্তু এই মুদ্রার কার্যকারিতা দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। বাইরের দেশে এই মুদ্রার প্রচলন নেই।
দেশটির জনসংখ্যা
মূল আকর্ষণের বিষয় হল এই দেশের জনসংখ্যা। আমার আপনার পরিবারেও এর থেকে বেশি জনসংখ্যা রয়েছে। ২০১৫ সালের হিসেব অনুযায়ী, এই দেশের জনসংখ্যা মাত্র ২ জন। হ্যাঁ, অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্যি।
আরও পড়ুন -> Human Evolution: প্রযুক্তি নির্ভর মানবদেহ বিবর্তনের পথে, বেঁকে যাবে কিছু অঙ্গ
Smallest Country: ‘প্রিন্সিপালিটি অফ সিল্যান্ড’-এর ইতিহাস
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সেনাবাহিনী জাপান সেনাবাহিনী কে আটকানোর জন্য এই সমুদ্র বন্দরটি তৈরি করেছিলেন। পরবর্তীকালে ১৯৬৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ নাগরিক মেজার প্যাডাজ রয় বেটস তাঁর পরিবারকে নিয়ে এখানে বসবাস করতে শুরু করেন। এরপর তারা এটাকে স্বাধীন মাইক্রো নেশন হিসেবে ঘোষিত করেন। এই দেশটির নিজস্ব পতাকা, রাজধানী, পাসপোর্ট, মুদ্রা, রাজা, রানী,জনগণ সবই রয়েছে। পরবর্তীকালে রাজা রয় বেটসের মৃত্যুর পর তার পুত্র মাইকেল এই রাষ্ট্রের রাজা হন এবং তিনি এই রাষ্ট্র শাসন করতেন। সিল্যান্ড স্বীকৃতিপ্রাপ্ত না হলেও সারা পৃথিবী জুড়ে ‘মাইক্রো নেশন’ হিসেবে পরিচিত।
এই রকম আরও খবর পেতে চোখ রাখুন বেঙ্গলি নিউজ ৩৬৫ এর পাতায়।