finance – BN365 Copy https://bn365.techiteasy.in Thu, 06 Jul 2023 22:20:35 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.7.1 https://bn365.techiteasy.in/wp-content/uploads/2022/11/BN365-logo-256p-150x150.png finance – BN365 Copy https://bn365.techiteasy.in 32 32 242097359 Bank Locker Rules: ব্যাংক লকারে দামী জিনিসের ক্ষতি হলে দায় কার? https://bn365.techiteasy.in/bank-locker-rules-in-bengali/ https://bn365.techiteasy.in/bank-locker-rules-in-bengali/?noamp=mobile#respond Thu, 06 Jul 2023 22:20:31 +0000 https://bn365.techiteasy.in/?p=3834 Bank Locker Rules সম্বন্ধে আমাদের অনেকেরই স্বচ্ছ ধারণা নেই। আমাদের সঞ্চিত টাকা রাখার নির্ভরযোগ্য স্থান ব্যাংকগুলি। শুধু টাকাই গচ্ছিত রাখা হয় না ব্যাংকে, ব্যাংকের লকারে গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং গয়নাও রাখা হয় সুরক্ষিত রাখার জন্য। কিন্তু আমরা অনেক সময় দেখি কোন একটি নামজাদা ব্যাংক হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায়।

ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণগুলি কি কি?

ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাওয়া বা উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে মূলতঃ তিনটি কারণে। প্রথমত, কোন ব্যাংক যদি অপর কোন ব্যাংকের সঙ্গে সংযুক্ত হয় সে ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ব্যাংকটি প্রধান হয়ে ওঠে। দ্বিতীয়ত, ঋণের ভার সামলাতে না পেয়ে ব্যাংক যদি দেউলিয়া হয়ে যায় তবে সেই ব্যাংক উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তৃতীয়ত, ব্যাংকের লেনদেনে যদি কোন কারচুপি থাকে অর্থাৎ ব্যাংকের কাজে যদি স্বচ্ছলতা প্রকাশ না পায় তবে রিজার্ভ ব্যাংকের তরফ থেকে সেই ব্যাংকটিকে বন্ধ করে দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ব্যাংক লকার সংক্রান্ত নিয়মকানুন (Bank Locker Rules)
ব্যাংক লকার সংক্রান্ত নিয়মকানুন (Bank Locker Rules)

Bank Locker Rules: ব্যাংক বন্ধ হলে কি কি করণীয়?

ব্যাংক যে কারণেই বন্ধ হোক না কেন ব্যাংকে গচ্ছিত সাধারণ মানুষের গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল্যবান জিনিসগুলি কি হবে এটি একটি চিন্তার বিষয়। এ বিষয়ে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। ব্যাংক কোন কারনে যদি তার ব্যবসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় সেক্ষেত্রে প্রত্যেক গ্রাহককে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে খবর জানাতে বাধ্য। অতএব ব্যাংক বন্ধ (Closing of banks) হওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি হলে সাধারণ মানুষ সহজেই লকারে থাকা তার মূল্যবান জিনিস অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে পারেন।

Bank Locker Rules: চুরি বা ডাকাতি অথবা ব্যাংকের অবহেলার কারণে ক্ষতি

রিজার্ভ ব্যাংকের তরফ থেকে নয়া লকারের চুক্তি (Bank Locker Agreement) অনুসারে লকারে থাকা মূল্যবান জিনিস যদি চুরি বা ডাকাতি অথবা ব্যাংকের অবহেলার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেক্ষেত্রে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকেই সম্পূর্ণ দায়ভার নিতে হবে। লকারের বার্ষিক ভাড়ার ১০০ গুণ পর্যন্ত সে ক্ষতিপূরণের মাত্রা গিয়ে দাঁড়ায়।

Bank Locker Rules: প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতি

কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে লকার যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় সে ক্ষেত্রে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কোন দায়ভার থাকবে না এমন কথাও রিজার্ভ ব্যাংকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।

Bank Locker Rules: লকার গ্রহণকারী ব্যক্তি কোনো কারণে মারা গেলে

লকার গ্রহণকারী ব্যক্তি যদি মারা যান তবে তার নমিনি সেই লকারের মালিকানা পাবেন। নমিনি যদি লকার রাখতে চান বা লকার বন্ধ করতে চান উভয় ক্ষেত্রেই ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করা আবশ্যক। নমিনির উত্তরাধিকারী সূত্রে লকারের মালিকানা পেতে লকার চুক্তিতে সই করতে হবে।

অতএব, লকার সংক্রান্ত কোনো রকম সংশয় থাকলে অতি সত্বর ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করাই শ্রেয়।


RBI-এর ব্যাংক লকার সংক্রান্ত নিয়মকানুন (Bank Locker Rules) বিস্তারিত জানতে দেখুন এই পাতাটি

এই রকম আরও খবর পেতে চোখ রাখুন বেঙ্গলি নিউজ ৩৬৫ এর পাতায়।

]]>
https://bn365.techiteasy.in/bank-locker-rules-in-bengali/feed/ 0 3834
Increase CIBIL Score: ব্যাংক থেকে লোন পেতে অসুবিধা? সিবিল স্কোর বাড়াবেন কিভাবে? https://bn365.techiteasy.in/increase-cibil-score-easily-in-bengali/ https://bn365.techiteasy.in/increase-cibil-score-easily-in-bengali/?noamp=mobile#respond Tue, 28 Mar 2023 16:58:35 +0000 https://bn365.techiteasy.in/?p=2166 সিবিল স্কোর খারাপ হলে আপনার পক্ষে ব্যাংক অথবা কোনো সংস্থা থেকে লোন পাওয়া খুবই অসুবিধাজনক হতে পারে। এমনকি, সেক্ষেত্রে নতুন ক্রেডিট কার্ড পাওয়াও বেশ মুশকিল হবে। এই প্রতিবেদন থেকে জেনে নিন কিভাবে আপনার সিবিল স্কোর বাড়াবেন (Increase CIBIL Score) এবং এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

আসলে কী এই সিবিল স্কোর? / What is CIBIL Score?

এটি একধরনের ক্রেডিট স্কোর (Credit Score) যা ভারতের সর্ববৃহৎ ক্রেডিট তথ্য অনুসন্ধানকারী সংস্থা Transunion CIBIL Limited (পূর্বে: Credit Information Bureau India Limited) দ্বারা সংরক্ষণ ও সরবরাহ করা হয়।

আমাদের সকলের এই সিবিল স্কোর ভালো রাখাটা অত্যন্ত জরুরী। তিন অঙ্কের এই স্কোর 300 থেকে 900 এর মধ্যে হয়ে থাকে এবং এটি নির্ভর করে কয়েকটি বিষয়ের উপর, যেমন – আপনার লোন অ্যাকাউন্ট, ঋণ শোধের ইতিহাস ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের রেকর্ডসমূহ ইত্যাদি।

সুতরাং, যদি পূর্বে কোন কারনে ঋণ নেওয়া হয়ে থাকে, তাহলে সেই ঋণ শোধ এর ওপরেও নির্ভর করে এই সিবিল স্কোর।

সিবিল স্কোর কিভাবে তৈরি হয়? / Major CIBIL Score factors
সিবিল স্কোর কিভাবে তৈরি হয়? / Major CIBIL Score factors

কিভাবে তৈরি হয় সিবিল স্কোর? / CIBIL Score factors

একজন ঋণগ্রহীতা কতদিন ধরে তার ঋণ শোধ করছেন এবং কিভাবে করছেন, অথবা সঠিক সময়ে ঋণ বা মাসিক ইনষ্টলমেন্ট পরিশোধ করছেন কিনা, তার ওপর নির্ভর করে তার সিবিল স্কোর। ঋণগ্রহীতা কিভাবে ক্রেডিট ব্যবহার করছেন কিনা, তার ওপরেও নির্ভর করে এই স্কোর। বলা বাহুল্য, ডেবিট কার্ড বা এটিএম কার্ডের সাথে এই স্কোর এর কোনো সম্পর্ক নেই।

সোজা কথায় বলতে গেলে, আপনার ক্রেডিট স্কোর বা সিবিল স্কোর হলো আপনার ঋণ পরিশোধ করার ইতিহাস বা রেকর্ড। আপনি যত ভালোভাবে এবং নিয়মমত আপনার ঋণ শোধ করবেন, আপনার স্কোর ততটাই ভাল হবে। তাই, অতীতের ভুলে আপনার স্কোর খারাপ হয়ে গিয়ে থাকলেও আপনি সঠিক পদ্ধতিতে সেটি বাড়িয়ে নিতে পারবেন (Increase CIBIL Score)।

সিবিল স্কোর কম থাকলে কি কি সমস্যা হয়? Low CIBIL Score Problems

লোনের ক্ষেত্রে সিবিল স্কোরের গুরুত্ব অনেকটাই বেশি। যেসব ব্যক্তির এই স্কোর খুব ভালো তারা খুব চটজলদি ব্যাংক থেকে লোন পেয়ে যাবেন। খারাপ সিবিল স্কোর ভবিষ্যতের লোন এবং ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করে। শুধু তাই নয়, এই স্কোর খারাপ হলে আপনাকে ব্যাংক থেকে ধার নেওয়া টাকার জন্যে বেশি সুদও দিতে হবে।

একজন ব্যক্তির সিবিল স্কোর যত বেশি হবে, লোন পেতে তার ততটাই সুবিধা হবে এবং সুদও অপেক্ষাকৃত কম দিতে হবে। সুতরাং, আপনার স্কোর খারাপ থাকলে অবশ্যই সেটি বাড়িয়ে নিতে হবে (Increase CIBIL Score)।

নূন্যতম কত সিবিল স্কোর থাকা উচিত? / Minimum CIBIL Score you should Maintain

যদি কোনো ব্যক্তির সিবিল স্কোর 700 বা তারও বেশি হয়, তাহলে তার লোন পেতে কোনো সাধারনতঃ কোনো অসুবিধা হয় না। 750 বা 800 এর বেশি থাকলে সেটি সবথেকে ভাল বলে গণ্য হয়। এই নম্বর 700 থেকে যত কম হবে, ব্যাংকের ক্ষেত্রে সেই ব্যক্তিকে লোন বা ক্রেডিট কার্ড দেওয়া ততটাই বেশি ঝুঁকিপূর্ণ মনে হবে। সেই কারণে ব্যাংকের লোন দেওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে এবং লোন দিলেও ব্যাংক বেশি পরিমাণে সুদ আদায় করবে।

সিবিল স্কোর কম হওয়ার কারণ এবং কীভাবে এটি বাড়ানো যায়? / Reasons for Low CIBIL Score and how to increase CIBIL Score?
সিবিল স্কোর কম হলে ব্যাংক লোন দেওয়ার আগে ১০ বার ভাববে!
এই স্কোর কম হওয়ার কারণ কি এবং কীভাবে এটি বাড়ানো যায়? / Reasons for Low CIBIL Score and how to increase CIBIL Score?

সিবিল স্কোর খারাপ হওয়ার কারণ / Low CIBIL Score Reasons

১. লোন এর ইএমআই সঠিক সময় প্রদান না করা।

২. ক্রেডিট কার্ডের ইএমআই অথবা বিল সঠিক সময় প্রদান না করা।

৩. ক্রেডিট কার্ডের লিমিটের ৩০ শতাংশের বেশি ব্যয় করা। এটি সাময়িকভাবে সিবিল স্কোর এর উপর প্রভাব ফেলে থাকে। তবে নিয়মিত এই ভুলটি করলে তার মাশুল হিসেবে এই স্কোর এর উপর অনেকটাই প্রভাব পড়ে। সুতরাং, আপনার ক্রেডিট কার্ডের লিমিট যদি ১ লাখ টাকা হয়, তবে এক মাসের মধ্যে ৩০,০০০ টাকার বেশি খরচ করলে সেটি আপনার সিবিল স্কোর এর উপর খারাপ প্রভাব অবশ্যই ফেলবে।

৪. আপনি যদি লোন বা নতুন ক্রেডিট কার্ডের জন্য বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান বা আবেদন করে থাকেন, তা আপনার সিবিল স্কোরের ক্ষেত্রে অবশ্যই খারাপ প্রভাব ফেলবে। এমনকি আবেদন করার সময় প্রথমে ব্যাংক বা সংশ্লিষ্ট সংস্থা যখন আপনার প্যান কার্ড নম্বর দিয়ে সার্চ করবে, সেটিও আপনার সিবিল স্কোর এর উপর খারাপ প্রভাব ফেলবে।

৫. যত বেশি লোন বা ক্রেডিট কার্ড থাকবে আপনার, ততটাই আপনার সিবিল স্কোর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। তাই, অপ্রয়োজনীয় লোন বা ক্রেডিট কার্ড নেওয়া থেকে বিরত থাকুন।

৬. ক্রেডিট কার্ডের বিল মেটানোর সময় মিনিমাম অ্যামাউণ্ট প্রদান করলে পরবর্তী ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন। মিনিমাম অ্যামাউণ্ট প্রদান করার ফলে সুদ বাড়তে থাকে এবং বার বার এই কাজ করলে সুদ, সুদের উপর সুদ এবং আসল টাকা জমে এতটাই বেশি হয়ে যায় যে সেটি পরিশোধ করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। পরবর্তীকালে সেই পাহাড়প্রমাণ টাকার বিল মেটাতে না পারলে অবশ্যই আপনার সিবিল স্কোর খারাপ হবে।

আপনার সিবিল স্কোর বাড়িয়ে নিন যাতে ভবিষ্যতে যেকোনো প্রয়োজনে লোন পেতে সমস্যা না হয় / Increase CIBIL score for a better creditworthiness
আপনার সিবিল স্কোর বাড়িয়ে নিন যাতে ভবিষ্যতে যেকোনো প্রয়োজনে লোন পেতে সমস্যা না হয় / Increase CIBIL score for a better creditworthiness

কিভাবে সিবিল স্কোর বাড়াবেন? / How to Increase CIBIL Score?

১. Increase CIBIL Score by paying EMI on time: লোন এবং ক্রেডিট কার্ডের ইএমআই সঠিক তারিখের মধ্যে প্রদান করুন।

২. Increase CIBIL Score by paying Credit Card bill on time: ক্রেডিট কার্ডের বিলের পুরো টাকা নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে প্রদান করুন। মিনিমাম অ্যামাউণ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। সিবিল স্কোর খারাপ হয়ে গিয়ে থাকলেও, ক্রেডিট কার্ডের বিল, লোন ও ক্রেডিট কার্ডের ইএমআই সঠিকভাবে শোধ করতে থাকলে ধীরে ধীরে সিবিল স্কোর বাড়তে শুরু করবে যদি অন্য কোনো ভুল আপনি না করেন।

৩. Increase CIBIL Score by avoiding high credit utilisation: একটি বিলিং সাইকেল (Billing Cycle) বা এক মাসের মধ্যে ক্রেডিট কার্ডের লিমিটের ৩০ শতাংশের বেশি খরচ না করাই বুদ্ধিমানের কাজ। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার ক্রেডিট কার্ডের লিমিট ১ লাখ টাকা হয়, তবে খুব প্রয়োজন না পড়লে ৩০,০০০ টাকার বেশি খরচ করবেন না। এটি মেনে চললে, ধীরে ধীরে আপনার সিবিল স্কোর বাড়তে শুরু করবে।

যদি ক্রেডিট কার্ডে আপনার খরচ লিমিটের ৩০% এর কাছাকাছি চলে যায়, তবে বিল শোধ করে তারপর পরবর্তী খরচগুলি করুন। এই ৩০% যদি আপনার কাছে খুব কম মনে হয় তাহলে আপনি ক্রেডিট কার্ডের লিমিট বাড়ানোর জন্যে আবেদন করতে পারেন।

৪. Increase CIBIL Score by avoiding unnecessary credit: খুব প্রয়োজন না হলে নতুন লোন বা ক্রেডিট কার্ড নেবেন না এবং আবেদনও করবেন না।

৫. Increase CIBIL Score by avoiding debt trap: প্রয়োজন বুঝে খরচ করুন। ঋণের ফাঁদ এড়িয়ে চলুন।

৬. আপনার যদি একাধিক ক্রেডিট কার্ড থাকে এবং আপনি কোনো ক্রেডিট কার্ড বন্ধ করাতে চান, সেক্ষেত্রে সম্ভব হলে নতুন ক্রেডিট কার্ডটি বন্ধ করান। পুরোনো ক্রেডিট কার্ডের সাথে অনেক বড় ক্রেডিট রেকর্ড (Credit History) জড়িয়ে রয়েছে। আপনার ক্রেডিট রেকর্ড যত পুরোনো হবে, সেটি আপনার সিবিল স্কোর এর জন্যে ততই ভালো।


Transunion CIBIL সম্বন্ধে আরো জানতে পড়ুন উইকিপিডিয়ার এই পাতা

এই সংক্রান্ত আরো বিস্তারিত জানতে চোখ রাখতে হবে বেঙ্গলি নিউজ ৩৬৫ পেজে।

]]>
https://bn365.techiteasy.in/increase-cibil-score-easily-in-bengali/feed/ 0 2166
Tax on Gift: উপহারের উপরেও এবার কর দিতে হবে? জানুন কেন এই নিয়ম https://bn365.techiteasy.in/tax-on-gift-in-india/ https://bn365.techiteasy.in/tax-on-gift-in-india/?noamp=mobile#respond Sun, 05 Mar 2023 17:38:55 +0000 https://bn365.techiteasy.in/?p=2164 “উপহার কর” (Tax on Gift) কথাটি শুনলেই অবাক হওয়াটা অনেকের পক্ষেই স্বাভাবিক।

ভারত মতো অন্য কোনো দেশে আপনি এত বেশি মিষ্টি মধুর পারিবারিক সম্পর্ক লক্ষ্য করবেন না। ভারতীয়রা সারা বছরই নানা রকম উৎসব অনুষ্ঠানে মেতে থাকে। পারিবারিক মেলবন্ধনের এই সুন্দর ছবির নজির মেলা ভার, পারিবারিক অনুষ্ঠান মানে উপহারের আদান-প্রদান তো হবে। সোনা কিংবা রুপোর গয়না উপহার হিসেবে অনেকেই আত্মীয়-স্বজনদের অনুষ্ঠানে দিয়ে থাকেন। কিন্তু এবার এই উপহারেও লাগতে চলেছে কর (Tax on Gift)।

কেন লাগবে উপহারে কর (Why pay tax on gift)?
কেন লাগবে উপহারে কর (Why pay tax on gift)?

কেন লাগবে উপহারে কর (Why pay tax on gift)?

উপহার মানেই কিন্তু ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার একটা ফন্দি বা পরিকল্পনা। অনেকেই আছেন যারা আইনের নিয়ম কানুন ঠিকমতো মানেন না, এমনকি কর ঠিকমত প্রদান করেন না। তাই ট্যাক্স ফাঁকি দিলে কপালে জুটতে পারে শাস্তি। সরকারের পক্ষ থেকে প্রথমবার ১৯৫৮ সালে উপহার কর আইন চালু করা হয়েছিল। উপহার আদান-প্রদানের ওপরে কর বসানোর জন্যই এই কর আইন চালু করা হয়েছিল।

বিভিন্ন মূল্যবান উপহার যেমন ডিমান্ড ড্রাফট, চেক, নগদ অর্থ প্রভৃতির ওপরে এই উপহার কর (Gift Tax) আইন বসানো হয়েছিল। ১৯৮৮ সালে এই উপহার কর আইন বা জিটিএ তুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ফের ২০০৪ সালে নতুন করে এই উপহার কর আইন আবার চালু হয়।

কোন ক্ষেত্রে কর বসানো হবে না?

ধরুন কোন বৌমা তার শাশুড়িকে কোন গয়না উপহার দিচ্ছে, সেই গয়না বংশপরম্পরায় পেয়েছে বৌমা। তাহলে সেক্ষেত্রে কোনো রকম উপহার কর দিতে হবে না (No tax on gift)। বিভিন্ন কর বিশেষজ্ঞদের মতে, আয়কর আইন অনুসারে কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে আত্মীয়-স্বজনকে কোন অস্থাবর সম্পত্তি উপহার হিসেবে দিলে তার ওপরে কোনরকম কর বসানো হবে না। তাই বৌমার দেওয়া উপহারের ওপরে কোনরকম কর বসানো যাবেনা। কিন্তু শাশুড়িমা যদি সেই উপহারে পাওয়া গয়না দোকানে বিক্রি করতে যান সেক্ষেত্রে তাকে কর প্রদান করতে হবে।

কি বলা হয়েছে ২০১৭ এর সংশোধনী আইনে?

বিস্তারিতভাবে জেনে নিন ২০১৭ এর সংশোধনী আইনে উপহার কর (tax on gift) সম্বন্ধে কি কি বলা হয়েছে:

১. কোনরকম গণনা ছাড়া যদি কোন অর্থ উপহার হিসেবে আসে এবং তা যদি ৫০,০০০ টাকার ঊর্ধ্বে হয় তাহলে অবশ্যই তার ওপর কর প্রদান করতে হবে।

২. কোন রকম গণনা বা বিবেচনা ছাড়া  যে কোনো রকম পরিমাণ সম্পত্তির এফএমভি যদি ৫০ হাজারের উর্ধ্বে হয় তাহলেও তা কর প্রদানের আওতায় আসে।

৩. কোনরকম গণনা ছাড়া যদি স্থাবর সম্পত্তি র স্ট্যাম্প ডিউটি মূল্য ৫০ হাজারের বেশি হয় সেক্ষেত্রেও প্রাপ্ত অর্থের ওপরে কর বসানো হবে।

৪. অস্থাবর সম্পত্তির স্ট্যান্ড ডিউটি মূল্য যদি ৫০ হাজারের বেশি হয় তাহলে সেটিও কর প্রদানের আওতার মধ্যে চলে আসে।


এই উপহার কর (tax on gift) সম্বন্ধে আরো বিস্তারিত জানতে পড়ে নিন আয়কর দপ্তরের তরফ থেকে প্রকাশিত নিয়মাবলীর এই পিডিএফ -> TAX TREATMENT OF GIFTS RECEIVED BY AN INDIVIDUAL OR HUF, by Income Tax Department of India

এরকম আরো খবর জানতে চাইলে চোখ রাখতে হবে বেঙ্গলি নিউজ ৩৬৫ এর পেজগুলিতে।

]]>
https://bn365.techiteasy.in/tax-on-gift-in-india/feed/ 0 2164
ডিজিটাল ভারতের ডিজিটাল মুদ্রা, জেনে নিন ই-রুপি এর সুবিধা https://bn365.techiteasy.in/how-to-use-e-rupi/ https://bn365.techiteasy.in/how-to-use-e-rupi/?noamp=mobile#respond Tue, 20 Dec 2022 13:47:48 +0000 https://bn365.techiteasy.in/?p=629 বর্তমানে দেশের পাশাপাশি উন্নত হচ্ছে দেশের মানুষজন। আগে ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে গেলে লাইন দিয়ে টাকা তুলতে হতো, কিন্তু বর্তমানে এটিএম আসায় তার মাধ্যমে মানুষ খুব সহজেই টাকা তুলতে পারছেন সাধারণ মানুষ। তাহলে ই-রুপি কিভাবে কাজে লাগবে? আজকাল লেনদেনের ক্ষেত্রেও কোনো জিনিস কেনাকাটা করলে অনলাইনের মাধ্যমে পেমেন্ট করে দেওয়া যাচ্ছে। ফলস্বরূপ, বর্তমানে ভারত আস্তে আস্তে ডিজিটাল হচ্ছে। ডিজিটাল ভারতের নতুন চমক ডিজিটাল মুদ্রা।

আরবিআই চালু করলো ই-রুপি - RBI launches e-RUPI / E-Rupee
আরবিআই চালু করলো ই-রুপি

ডিজিটাল মুদ্রা ভারতে

বর্তমানে অন্যান্য দেশে প্রায় সবকিছুই ডিজিটাল মাধ্যমে চলছে। আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রেও অন্যান্য দেশের মানুষ ডিজিটাল মাধ্যমে লেনদেন করছে। এর ফলে তাদের সুবিধাও হচ্ছে। তবে এই ডিজিটাল মুদ্রার মাধ্যমে লেনদেন করছে বেশ কিছু দেশ। আর সেই দেশের তালিকায় চলতি বছরের যুক্ত হল ভারত। ভারতে এমন কয়েকটি ব্যাঙ্ক বেছে নেওয়া হয়েছে যার মাধ্যমে নগদের পরিবর্তনে ডিজিটাল মুদ্রার মাধ্যমে লেনদেন করা যাবে।

আরবিআই-এর বেছে নেওয়া ব্যাঙ্ক এবং কিছু জায়গা

১লা ডিসেম্বরে আরবিআই এই ডিজিটাল মুদ্রা বাজারে এনেছেন। তবে বর্তমানে ভুবনেশ্বর, মুম্বই, নয়া দিল্লি এবং বেঙ্গালুরুতে এই ডিজিটাল মুদ্রার পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া বেশ কিছু নির্দিষ্ট ব্যাঙ্কেও এই ডিজিটাল মুদ্রা লেনদেন করার পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। তবে ভারত যে ব্যাঙ্কগুলিকে বেছে নিয়েছে সে ব্যাঙ্কগুলি হল স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, ইয়েস ব্যাঙ্ক ও আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাঙ্ক।

ডিজিটাল মুদ্রার লেনদেন

তবে ভাবছেন আপনি কিভাবে এই ডিজিটাল মুদ্রা পাবেন? আপনার মোবাইল ফোনেই ওয়ালেটে পাবেন এই ডিজিটাল মুদ্রা। বর্তমানে যে কোনো কোম্পানি বা দোকানে সব জায়গাতেই লেনদেন করা যাবে নগদ টাকার পরিবর্তে এই ই-রুপির মাধ্যমে। তবে বর্তমানে আরবিআই আটটি ব্যাঙ্ককে এই ডিজিটাল মুদ্রা পরিষেবা দেওয়ার জন্য বেছে নিয়েছে। তবে পরবর্তী ধাপে আরও চারটি ব্যাঙ্ককে বেছে নেবেন বলে জানিয়েছেন।

নগদ টাকার সমতুল্য ই-রুপি

জানা যাচ্ছে আরবিআই-এর মাধ্যমে বেছে নেওয়া ব্যাঙ্কগুলি যে যার নিজস্ব ই-রুপি লঞ্চ করবেন। আর সেই রুপি দোকানে লেনদেনের ক্ষেত্রে কিউআর কোড ব্যবহার করে করতে হবে। এছাড়া বেশ কিছু নির্দিষ্ট দোকান বা সংস্থায় এই ই-রুপি ব্যবহার করা যায়। যাদেরকে বলা হয় ক্লোজড ইউজার গ্রুপ। তবে জানা গিয়েছে, এই ডিজিটাল মুদ্রা নগদ টাকার সমতুল্য।

অনলাইনে লেনদেন ই-রুপি

অর্থাৎ নগদ টাকা লেনদেনে অনেক অসুবিধা হওয়ার কারণেই তার সংস্করণে এই ডিজিটাল মুদ্রা আনা হয়েছে। অর্থাৎ এক কথায় বলা যায় এই ডিজিটাল মুদ্রা নগদ টাকা সংস্করণ। তবে ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবহার করা যাবে স্মার্টফোন, ল্যাপটপে অনলাইনের মাধ্যমে। এছাড়া এই ডিজিটাল মুদ্রা শুধু “পার্সন টু পার্সন”-এর ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা যাবে তা নয়। এই ই-রুপি ব্যবহার করা যাবে “পার্সন টু পার্সন” এবং “পার্সন টু মার্চেন্ট” উভয় ক্ষেত্রে। যে কোনো জায়গায় কিউআর কোড স্ক্যান করলেই এই ই-রূপির মাধ্যমে লেনদেন করা সম্ভব হবে।

ই-রুপি ব্যবহার করার ইতিবাচক দিক

RBI জানিয়েছেন, ক্রিপ্টোকারেন্সির তুলনায় এই ডিজিটাল মুদ্রা বেশ সুরক্ষিত। বিভিন্ন সরকারি সংস্থা বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও এই ডিজিটাল মুদ্রাকে বৈধ হিসেবে গণ্য করা হয়। এছাড়া এই ডিজিটাল মুদ্রার আরো অনেক সুবিধা রয়েছে।

ডিজিটাল মুদ্রাকে খুব সহজেই নগদ টাকা বা বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক মুদ্রায় পরিবর্তন করা যেতে পারে।

এছাড়া আইনিভাবে এই ই-রূপি স্বীকৃতি পাওয়ায় ব্যাঙ্কের গ্রাহক না হলেও এই ই-রুপি লেনদেন করা যেতে পারে।

এছাড়া, আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হল নগদ টাকা নষ্ট হলেও এই ই-রূপি কিন্তু নষ্ট হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

এছাড়া, ক্রিপ্টোকারেন্সির তুলনায় এই ডিজিটাল মুদ্রা খুবই সুরক্ষিত। কারণ তা কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের নজরে থাকবে।

এছাড়া, আর একটি সুবিধা হল নির্দিষ্ট ব্যঙ্কগুলি নিজস্ব ডিজিটাল মুদ্রা লঞ্চ করার কারণে এই ডিজিটাল মুদ্রা অন্য কোনো ডিজিটাল মুদ্রায় রুপান্তরিত করা যাবে না।

ই-রুপি সম্বন্ধে আরো জানতে পড়ুন -> https://en.wikipedia.org/wiki/Digital_Rupee

এরকম আরো খবর পেতে চোখ রাখুন বেঙ্গলি নিউজ ৩৬৫

]]>
https://bn365.techiteasy.in/how-to-use-e-rupi/feed/ 0 629
ভারতে ক্রিপ্টোকারেন্সি-তে বিনিয়োগ কতটা ঝুঁকি সাপেক্ষ? আইনকে কি পাশে পাবে বিনিয়োগকারীরা? https://bn365.techiteasy.in/is-cryptocurrency-legal-in-india/ https://bn365.techiteasy.in/is-cryptocurrency-legal-in-india/?noamp=mobile#respond Sat, 26 Nov 2022 19:04:08 +0000 https://bn365.techiteasy.in/?p=282 “বল বল বল সবে/ শত বীণা বেনু রবে
ভারত আবার জগত সভায়/ শ্রেষ্ঠ আসন লবে”

উক্ত দুটি লাইনের অর্থ একেবারে যথার্থ হয়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সির জগতে। এক সমীক্ষার দ্বারা জানা গেছে যে, ক্রিপ্টোকারেন্সির দুনিয়াতে বিনিয়োগের দিক থেকে শ্রেষ্ঠ স্থান লাভ করেছে ভারতবর্ষ। ভারতের প্রায় ১০ কোটি মানুষ ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগ করেছেন। এই সংখ্যার তুলনায় ইউএসএ তে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা তুচ্ছ মনে হবে। তার কারণ ইউএসএ তে মাত্র ১.৩ কোটি মানুষ ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগ করেছে।

ক্রিপ্টোকারেন্সি

এবার প্রশ্ন হল ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ ভারতবর্ষে আইনসম্মত নাকি আইন বিরুদ্ধ? যদি তা আইন বিরুদ্ধ হয়, তবে সেকেন্ডের মধ্যে ঘুম উড়ে যাবে এই ১০ কোটি বিনিয়োগকারীর। আর প্রশ্নের উত্তর যদি ইতিবাচক হয়, তবে এই ১০ কোটি মানুষ স্বপ্ন দেখবে আরো এগিয়ে যাওয়ার। সঠিক উত্তরটি জানতে হলে প্রতিবেদনটি শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। এছাড়া ক্রিপ্টোকারেন্সি কি এবং কিভাবে ব্লকচেইন প্রযুক্তি এর দ্বারা এই কারেন্সি পরিচালনা করা হয়, তার সমস্ত তথ্য এই ওয়েবসাইটেই পাওয়া যাবে।

অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এটি সম্পূর্ণ ডিজিটাল কারেন্সি এবং বাস্তবে এর কোন অস্তিত্ব এখনো পর্যন্ত উপলব্ধি করা যায়নি। এছাড়া এর নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণরূপে প্রাইভেট সংস্থাগুলির উপর। আরো শোনা গিয়েছিল যে, ক্রিপ্টোকারেন্সি এন্ড রেগুলেশন অফ অফিশিয়াল ডিজিটাল কারেন্সি বিল ২০২১ দ্বারা ক্রিপ্টোকারেন্সের উপর এক নতুন নিয়মানুবর্তিতা প্রযোজ্য হবে। কিন্তু আর.বি.আই. থেকে শুরু করে রাজ্য বা কেন্দ্র সরকার কেউই এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন প্রকার আলোকপাত করেনি।

তবে কি ভারতবর্ষে ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধ?

২০২১ থেকে ২০২২ সালে এসেও ভারতে ক্রিপ্টো কয়েনের ওপর কোন আইনি নিষেধাজ্ঞা আনা হয়নি। সেই মতে ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগ ভারতবর্ষে এখনো পরোক্ষভাবে আইন সম্মত। অপরদিকে সরকারের তরফ থেকে কোন নিয়ন্ত্রণ বা আইন এই ব্যাপারে লাগু হয়নি। যার ফলে সন্দেহ থেকেই যায় যে, ভবিষ্যতে এটি আইন বিরুদ্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা! তবে যেহেতু এখনো পর্যন্ত প্রায় ১০ কোটির মত মানুষ ক্রিপ্টোতে অনেক অর্থ বিনিয়োগ করে বসে আছে এবং শুধুমাত্র মানুষই নয় তাদের সাথে সাথে বেশ কিছু নামজাদা কোম্পানিও বিনিয়োগ করেছে, তাই হয়তো সরকার এতটা কঠোর হৃদয় হবে না।

কোন দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি পুরোপুরি আইন সম্পন্ন?

এখনো পর্যন্ত এল.সালভাডোর নামক দেশটিতে সরকার ক্রিপ্টোকারেন্সিকে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে। এদেশে বিনিয়োগ বা ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন সম্পূর্ণরূপে আইনসম্মত।

এর কারণ কি?

ক্রিপ্টোকারেন্সির আসার পর পরই এই দেশের সরকার এটিকে আইনের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করে। এমনকি, এই দেশের মানুষ ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে নির্দ্বিধায় কোন জিনিস ক্রয়-বিক্রয় করতে সক্ষম হয়। এর প্রধান কারণ হলো ইকোনমিক রেমিটেন্স। অর্থাৎ এই দেশের বাইরে থেকে মোটা অংকের অর্থ প্রদান করা হয় দেশের ভেতরে। যার ফলে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। এই সুবিধাকে আরো পোক্ত করার জন্য এই দেশের প্রেসিডেন্ট সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন যে বাইরে থেকে আসা কোন ব্যক্তিও এই কয়েনের মাধ্যমে লেনদেন বা বিনিয়োগ করতে পারবেন। যার ফলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আরো শক্তিশালী হয়ে উঠবে।

কোন দেশগুলিতে ক্রিপ্টোকারেন্সি আধা আইনসম্পন্ন?

হ্যাঁ, পৃথিবীতে এমন কয়েকটি দেশ রয়েছে, যাদের সরকার পুরোপুরিভাবে আইনি আওতায় আনতে পারেনি ক্রিপ্টোকারেন্সিকে। বেশ কিছু জায়গায় ছাড় প্রদান করেছে। যেমন ইউএসএ; এখানে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে টেন্ডার করা সম্ভব হবেনা। কিন্তু কোন ব্যক্তি ক্রিপ্টোকে নিজের সম্পদ হিসেবে গচ্ছিত রাখতে পারবেন।

ক্রিপ্টোকারেন্সি পুরোপুরি নিষিদ্ধ এমন কোন দেশ আছে কি?

অবশ্যই কিছু দেশে রয়েছে যেখানে ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পূর্ণরূপে আইন দ্বারা নিষিদ্ধ। এই সমস্ত দেশগুলি হল বাংলাদেশ, চীন, ইরাক, কাতার, মিশর, মরক্কো ইত্যাদি।

এই কারেন্সি ব্যবহারে ভারতে সত্যি কি কোন ক্ষতি হতে পারে?

এখনো পর্যন্ত ক্রিপ্টোকারেন্সির আশীর্বাদ বা অভিশাপ হয়ে দাঁড়াবে তা নিয়ে অবশ্যই বিতর্ক চলতে পারে। ২০১৮ সালে হঠাৎই আর.বি.আই-এর ঘোষণার অনুযায়ী, পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞার শিকল পরিয়ে দেওয়া হয়েছিল কারেন্সিগুলিতে। তবে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হওয়ার পর ২০২০ সালে সেই নিষেধাজ্ঞা আবার তুলেও নেওয়া হয়।

সুপ্রিম কোর্টের রিপোর্ট অনুযায়ী, ক্রিপ্টো জগত হল দেশের অর্থনৈতিক যোগানের একটি অতীব শক্তিশালী কেন্দ্র। এতে মানুষসহ সরকারও প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে আর্থিক সুবিধা লাভ করতে পারে। যদিও এই কারেন্সির বেশ কিছু ক্ষতিকর দিক বর্তমান। তবুও এই জগতটি পরবর্তীতে ভারতের অর্থনীতিকে ভীষনভাবে সহায়তা করতে সক্ষম হবে।

তবে দেশের সরকারের উচিত প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ণের মাধ্যমে এর ক্ষতিকারক দিকগুলি যাচাই করে দেখা এবং তার উপর নিয়ন্ত্রণ আনা। এর থেকে আঁচ করা যেতে পারে যে, ভবিষ্যতে এই কারেন্সির উপর ভরসা করা যাবে। বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ হয়তো বিফলে যাবে না।

ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে আরো জানতে চোখ রাখুন বেঙ্গলি নিউজ ৩৬৫ এর পাতায়।

]]>
https://bn365.techiteasy.in/is-cryptocurrency-legal-in-india/feed/ 0 282
জানুন ব্লকচেইন সম্পর্কিত সকল গোপন তথ্য এক নজরে https://bn365.techiteasy.in/detail-information-about-blockchain/ https://bn365.techiteasy.in/detail-information-about-blockchain/?noamp=mobile#respond Thu, 24 Nov 2022 14:41:32 +0000 https://bn365.techiteasy.in/?p=270 ‘ব্লকচেইন’ (Blockchain) নামটি কে দু’ভাগে বিভক্ত করলে পাওয়া যায় – ব্লক ও চেইন। এই দুটি শব্দই প্রায় সকলের কাছে পরিচিত। কিন্তু যখনই এই দুটি শব্দকে একত্রে উচ্চারণ করা হয় ‘ব্লকচেইন’ হিসেবে, তখনই এই নামটি অচেনা হয়ে দাঁড়ায় বহু মানুষের কাছে।

ব্লকচেইন

বর্তমানের একাংশ ব্লকচেইন প্রযুক্তির সম্পর্কে জ্ঞাত হলেও, বিপুল সংখ্যক মানুষ এখনো পর্যন্ত জানেন না ব্লকচেইন কি বা এই প্রযুক্তির কার্যকারিতা কতটা? আজকের এই প্রতিবেদন আশা করি আপনাদের সকলের পৌঁছে দেবে ব্লকচেইন প্রযুক্তির (Blockchain Technology) সমস্ত খুঁটিনাটি তথ্য।

ব্লকচেইন কি?

ইতিমধ্যে আমরা সকলেই প্রায় ‘ক্রিপ্টোকারেন্সি’ কথাটির সঙ্গে পরিচিত হয়েছে। আমাদের পারিপার্শ্বে যেমন ব্যাংক থাকে, যেখানে আমাদের গচ্ছিত সম্পদ বা অর্থ নিরাপদে রাখা যায়। তেমনি এই ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যাংক হিসেবে পরিচিত হল ব্লকচেইন।

ব্লকচেইন শব্দটি দুটি ভিন্ন ভিন্ন শব্দের সংগঠন। একটি হল ব্লক এবং অপরটি হল চেইন। ডেটা বা তথ্য সংরক্ষণের দীর্ঘ চেইনকে বলা হয় ব্লকচেইন। ভার্চুয়াল মুদ্রার সমস্ত তথ্য এনকোড করা হয় ব্লকগুলিতে এবং এইভাবে একটি ব্লক আরেকটি ব্লকের সঙ্গে যুক্ত হতে থাকে।

প্রতিটি ব্লকে কিছু না কিছু তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা হয় এবং প্রত্যেকটি ব্লককে আলাদাভাবে চিহ্নিত করার জন্য ভিন্ন ভিন্ন ইউনিক নম্বর থাকে। এই ইউনিক নম্বরটিকে ‘hash’ বলা হয়। প্রতিটি ব্লকে তার পূর্ববর্তী ব্লকের hash তথ্য সংরক্ষিত থাকে।

ব্লকচেইন প্রযুক্তি কি?

আপনার কাছে ব্লকচেইন প্রযুক্তিটি নতুন মনে হলেও, মোটেই এটি একদম নতুন নয়। এই প্রযুক্তির আবির্ভাব ঘটে ১৯৯১ সালে। স্টুয়ার্ট হ্যাবার এবং ডব্লিউ স্কট স্টর্নেটা এই দুই ব্যক্তির হাত ধরে মানুষ প্রথম বুঝতে শুরু করেন ব্লকচেইন প্রযুক্তিকে।

ব্লকচেইন প্রযুক্তি মানেই হলো টাইমস্ট্যাম্প ডিজিটাল ডকুমেন্টস। এর অর্থ কি? এর অর্থ হলো অপরিবর্তনশীল ডিজিটাল তথ্যাদি। অর্থাৎ এই প্রযুক্তি দ্বারা ভার্চুয়াল মুদ্রা সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য সম্পূর্ণরূপে গোপন রাখা যায়। যা অন্য কেউই পরিবর্তন করতে পারবে না।

সাতোশি নাকামোতো নামক এক জাপানি ব্যক্তি ২০০৮ সালে এই প্রযুক্তিকে হাতিয়ার বানিয়েই তৈরি করে ফেলেন বিটকয়েন। আর তারপর থেকেই ব্লকচেইন প্রযুক্তির জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে।

ব্লকচেইন-এর ইতিহাস

১৯৯১ সালে স্টুয়ার্ট হাবের (Stuart Haber) এবং স্কট স্টরেনট্টো (W. Scott Stornetta)দুজন মিলে সর্বপ্রথম ব্লকচেইন প্রযুক্তি তৈরী করেন। অবশ্য নাকামোতোর বিটকয়েন আবিষ্কারের পরই এই প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার শুরু হয়। এবং মানুষেরও এর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন হয় বেশি করে।

ব্লকচেইন কাজ করে কিভাবে?

ব্লকচেইন সাধারণত peer to peer নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সক্রিয় থাকে। অর্থাৎ ব্লকচেইনের প্রত্যেকটি ব্লকে যেসমস্ত তথ্য সংরক্ষিত থাকে, তা ইন্টারনেট ব্যবহারকারী যে কোন ব্যক্তি যাচাই করে নিতে পারেন।

সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করে বলা যেতে পারে যে, এটি ব্যাংক বা কোন দপ্তরে রাখা লেজার নামক খাতাটির সমান। যে কোন ব্যাংক বা দপ্তরে এরকম একটি খাতা থাকে, যার মধ্যে সমস্ত তথ্য সংরক্ষিত থাকে। এই খাতাটিকে লেজার বলা হয়ে থাকে। শুধুমাত্র সেই দপ্তরের কর্মী ছাড়া অন্য কোন গ্রাহক বা তৃতীয় কোন ব্যক্তি সেই খাতাটিকে ব্যবহার করতে পারেনা। ব্লকচেইন প্রযুক্তিকেও ডিস্ট্রিবিউটেড ওপেন লেজার হিসেবে বলা যেতে পারে। ডিজিটাল মাধ্যমে ডিজিটাল কারেন্সির সমস্ত লেনদেন এই ব্লকচেইন প্রযুক্তির দ্বারা ব্লকে সংরক্ষিত থাকে।

উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, যখন আপনি কোনো ক্রিপ্টো কয়েন অন্য কোনো ব্যক্তিকে পাঠাবেন, তখন সেই ব্যক্তির নাম, ঠিকানা সবই ব্লকের মধ্যে সংরক্ষিত হয়ে যায়। ব্লকটিকে hash দিয়ে সুরক্ষিত রাখা হয়। এইভাবে যত ভারচুয়াল কারেন্সির লেনদেন হয়, তা সবই ব্লকের মধ্যে সংরক্ষিত হতে থাকে। আর এই সকল ব্লক বিভিন্ন কম্পিউটার দ্বারা পরিচালনা করা হয়। একটির পর একটি ব্লক তৈরী হতে হতে ব্লকচেইন গঠিত হয়।

ব্লকচেইন প্রযুক্তির ব্লকগুলিকে বারবার ভেরিফাই করলে, ব্লকগুলিতে থাকা তথ্য আরও বেশি করে সংরক্ষন করা সম্ভব। এর ফলে এগুলি  অপরিবর্তন রাখা যায় দীর্ঘ সময়ের জন্য। আর এই কারনেই ব্লকচেইন প্রযুক্তির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ব্লকচেইন ব্যবহারের সুযোগ-সুবিধা

একনজরে দেখে নেওয়া যাক ব্লকচেইন প্রযুক্তির সুবিধাগুলি ঠিক কি কি:-

  • অনলাইন ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেন এর ক্ষেত্রে ব্লকচেইন প্রযুক্তি হল সবচেয়ে সুরক্ষিত একটি মাধ্যম। লেনদেন সম্পর্কিত সকল তথ্য ব্লকগুলিতে সাথে সাথে সংরক্ষিত হয়ে যায়।
  • ব্লকচেইন প্রযুক্তি লেনদেনের অত্যন্ত নিরাপদ একটি মাধ্যম। এটিতে তথ্য চুরি বা পরিবর্তন হওয়ার কোনো ঝুঁকি থাকেনা।
  • যেকোনো প্রকার ব্যাংক বা অর্থনেতিক প্রতিষ্ঠানে আর্থিক লেনদেনগুলি যদি এই প্রযুক্তি দ্বারা করা হয়, তবে সেই অর্থ সর্বদাই সুরক্ষিত রাখা সম্ভব হবে।
  • ব্লকচেইন প্রযুক্তির মাধ্যমে যদি ভোট গ্রহণ সম্ভব হয়, তবে সেক্ষেত্রে ভোট কারচুপিরও কোনো সুযোগ থাকবে না।
  • ব্লকচেইন প্রযুক্তি স্বাস্থ্য দপ্তরকেও উন্নত করতে সহায়তা করে।

ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে আরো জানতে চোখ রাখুন বেঙ্গলি নিউজ ৩৬৫ এর পাতায়

]]>
https://bn365.techiteasy.in/detail-information-about-blockchain/feed/ 0 270
বাংলায় ক্রিপ্টো-বৃতান্ত, জানুন ক্রিপ্টোকারেন্সির গোড়ার কথা https://bn365.techiteasy.in/details-about-cryptocurrency-in-bengali/ https://bn365.techiteasy.in/details-about-cryptocurrency-in-bengali/?noamp=mobile#respond Tue, 22 Nov 2022 18:40:45 +0000 https://bn365.techiteasy.in/?p=262 দিন যতই এগোচ্ছে মানুষ ততই নতুনত্বকে স্বাগত জানাচ্ছে। আমরা এতদিন ক্রয় বিক্রয় তথা ব্যবসা বাণিজ্য সকল ক্ষেত্রে হাতে হাতে সরাসরি টাকার লেনদেন দেখে এসেছি। সম্প্রতি বেশ কয়েক বছর ধরেই এই সরাসরি টাকা লেনদেন পদ্ধতির পাশাপাশি মানুষ ঝুঁকছে অনলাইনে ফোনের মাধ্যমে টাকা লেনদেনের প্রতি। ভাবতে অবাক লাগে যে, সঙ্গে একখানি স্মার্ট ফোন থাকলেই বর্তমানে পুরো বিশ্বকে জয় করে নেওয়া সম্ভব।

আজকে আরও একটি অবাক করা কথা বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করব এই প্রতিবেদনে। এতদিন যাবৎ আমরা সম্পত্তি বা অ্যাসেট বলতে আমাদের জমানো টাকা পয়সা বা জমি জায়গাকে বুঝে এসছি। কিন্তু এই অত্যাধুনিক টেকনোলজির যুগে ডিজিটাল অ্যাসেট (Digital Asset) বা অনলাইন সম্পত্তিও অধিকার করা সম্ভব হয় জানেন কি? এই ডিজিটাল অ্যাসেটের অন্যতম দাপ্তরিক নাভ হল ক্রিপ্টোকারেন্সি (Cryptocurrency)। ইতিমধ্যে বহু সংখ্যক মানুষ ‘ক্রিপ্টোকারেন্সি’ শব্দটির সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন। অন্যদিকে বিপুল পরিমাণ সাধারন জনগনের কাছে শব্দটি সম্পূর্ণ অপরিচিত।

ক্রিপ্টোকারেন্সি (Cryptocurrency) কি?

প্রথমেই মনে যে প্রশ্নটি উঁকি মারছে, সেটি হল – ক্রিপ্টোকারেন্সি কি? আসলে এই ক্রিপ্টোকারেন্সি হল একপ্রকার মুদ্রা। কিন্তু এই মুদ্রা শুধুমাত্র ইন্টারনেটের দুনিয়াতেই কার্যকরী। তাই একে ডিজিটাল মুদ্রা বা ভার্চুয়াল মুদ্রা (Virtual Mudra/Coin) বলা হয়ে থাকে। এই ধরনের কারেন্সিকে আমরা কখনোই সরাসরি দেখতে বা স্পর্শ করতে পারবো না। আমাদের টাকা যেমন ব্যাংকে গচ্ছিত থাকে, সেরকমই ক্রিপ্টোকারেন্সি ডিজিটাল ওয়ালেটে সর্বদা সুরক্ষিত ও গচ্ছিত থাকে। এই ওয়ালেটের থেকে প্রয়োজনমতো এই ডিজিটাল মুদ্রা লেনদেন করা যায়।

যদিও এখনো অবধি ভারতীয় মুদ্রা বা বিদেশি ডলার ইত্যাদির মত এই ক্রিপ্টোকারেন্সি সরকারের নিয়ন্ত্রণের আওতায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেনি। এটি শুধুমাত্র অনলাইনে ক্রিপ্টোকারেন্সির অধিকর্তারাই নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবেন।

ক্রিপ্টোকারেন্সি-এর অর্থ?

গোঁদা বাংলা ভাষায় বলতে গেলে, ক্রিপ্টোকারেন্সের মানে দাঁড়ায় ‘গুপ্ত অর্থ’। ক্রিপ্টো-এর (Crypto) বাংলা মানে হলো ‘গুপ্ত’। আর কারেন্সির (Currency) বাংলা মানে হলো ‘অর্থ’। এই দুইয়ে মিলে দাঁড়াল গুপ্ত অর্থ।

যদিও এই অর্থ সম্পূর্ণরূপে যথার্থ। তার কারণ ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেন বা সঞ্চয় সর্বদাই গোপন থাকে। ক্রিপ্টোকারেন্সির ডিজিটাল ওয়ালেট সেই কারেন্সির অধিকর্তা ছাড়া অন্য কোন তৃতীয় ব্যক্তি কোন প্রকার নিয়ন্ত্রণ বা ব্যবহার করতে পারেনা। যার ফলে এটিকে হামেশাই ‘গুপ্ত অর্থ’ বলে সম্বোধন করা যেতে পারে।

কিছু জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সির নাম

বর্তমানে ক্রিপ্টোকারেন্সির সংখ্যা চার হাজার ছাড়ালেও, ১০টি কারেন্সি আছে, যা বহুল জনপ্রিয়তা লাভ করে প্রথম সারিতে স্থান পেয়েছে।
• বিটকয়েন (Bitcoin)
• ইথেরিয়াম (Ethereum)
• টিথার (Tether)
• ইউ.এস. ডলার কয়েন (USD Coin)
• বাইনান্স কয়েন (Binance Coin)
• বাইনান্স ইউ.এস.ডি. (Binance USD)
• কারডানো (Cardano)
• এক্সআরপি (XRP)
• ডজকয়েন (Dogecoin)
• পলিগন (Polygon)

ক্রিপ্টোকারেন্সি-এর ইতিহাস

ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রচলন খুব বেশিদিন না হলেও, এর উৎপত্তি কিন্তু বহু বছর আগেই ঘটেছে। সালটি প্রায় ১৯৮৩, ডেভিড চৌম নামে এক ব্যক্তি প্রথম ইন্টারনেটের সহায়তায় আর্থিক লেনদেনের ব্যাপারে আলোকপাত করেন। শুরুটা ১৯৮৩ সালে হলেও, তার গবেষণা বাস্তবে রূপ নেয় ১৯৯৫ সালে।

এরপর ক্রিপ্টোকারেন্সির দুনিয়ায় প্রথম ঝড় তোলে ২০০৯ সালে সাতোশি নাকামত নামক এক ব্যক্তি। তিনি প্রথম বিটকয়েন এর প্রচলন করেন। যদিও ২০২২ সালে ক্রিপ্টোকারেন্সির সংখ্যা ছাড়িয়েছে প্রায় চার হাজার, তবুও বিটকয়েনের জনপ্রিয়তা সর্বদাই উচ্চ।

কিভাবে কার্যকরী হয় এই ক্রিপটোকারেন্সি?

ক্রিপ্টোকারেন্সির মূল নিয়ন্ত্রণ রয়েছে ব্লকচেইন (Blockchain) নামক প্রযুক্তির হাতে। আমাদের অন্য একটি প্রতিবেদনে ব্লকচেইন প্রযুক্তি কি এবং তার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা রয়েছে।

সাধারণত ব্যাংকে যেমন কম্পিউটারে সমস্ত গ্রাহকদের লেনদেনের তথ্য এবং নথি সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে। ঠিক তেমনি ক্রিপ্টোকারেন্সির ক্ষেত্রে ব্লকচেইনে এই কারেন্সির সমস্ত লেনদেনজনিত তথ্য সংরক্ষিত থাকে।

লেনদেনের জন্য কোন ব্যাংক অথবা কোন প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। একটি স্মার্ট ফোনই যথেষ্ট এই কারেন্সি লেনদেনের জন্য। তবে আপনাকে অবশ্যই একটি ডিজিটাল ওয়ালেট অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে হবে। একমাত্র এই একাউন্ট এর মাধ্যমে আপনি অন্য যে কোন ক্রিপ্টোকারেন্সি অধিকর্তাদের সঙ্গে এই কারেন্সি লেনদেন করতে পারবেন।

যদিও পুরো পদ্ধতিটি গোপনীয়তা বজায় রেখেই সম্পন্ন হয়। আপনি কাকে কতটা কারেন্সি প্রদান করছেন বা তার থেকে কতটা কারেন্সি পাচ্ছেন, সেটি শুধুমাত্র আপনার এবং সেই ব্যক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। অন্য কোন তৃতীয় ব্যক্তি কোন রকম ভাবে কিছু জানতে পারবেন না।

ক্রিপ্টোকারেন্সি-তে কিভাবে লগ্নি করা যায়?

ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লগ্নি করার পদ্ধতি খুবই সহজ। প্রথম ক্ষেত্রে আপনাকে আগে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে যে আপনি এমন একটি কারেন্সিতে টাকা ইনভেস্ট করতে চলেছেন, যেটি আপনি কখনো দেখেননি বা ছুঁতেও পারবেন না। যদি আপনি মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকেন, তবে ইনভেস্ট করতে পারেন।

• প্রথমে আপনাকে একটি বিশ্বাসযোগ্য প্ল্যাটফর্ম পছন্দ করতে হবে।
• দ্বিতীয়তঃ, এই প্লাটফর্মে আপনি আপনার সাধ্যমত টাকা দিয়ে ইনভেস্ট করে ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনতে পারবেন।

এই রকম আরো অর্থনৈতিক সূলুক সন্ধান পেতে চোখ রাখুন বেঙ্গলি নিউজ ৩৬৫ এর পাতায়।

]]>
https://bn365.techiteasy.in/details-about-cryptocurrency-in-bengali/feed/ 0 262
এখন ঘরে বসে এজেন্ট ছাড়াই করুন এলআইসি, এর জন্য দরকার শুধুমাত্র একটি স্মার্টফোনের https://bn365.techiteasy.in/lif-insurence-of-india-starts-to-provide-service-through-whatsapp/ https://bn365.techiteasy.in/lif-insurence-of-india-starts-to-provide-service-through-whatsapp/?noamp=mobile#respond Mon, 14 Nov 2022 15:00:12 +0000 https://bn365.techiteasy.in/?p=236 জীবন বীমার করার ক্ষেত্রে আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষই ভরসা করে থাকেন এলআইসি অর্থাৎ লাইফ ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া (LIC) এর উপর। কিছু বছর আগে ঘটে যাওয়া এতগুলি চিটফান্ড কাণ্ডের পরেও দেশের বেশিরভাগ মানুষ জীবন বীমা করার ক্ষেত্রে এই সংস্থা থেকেই গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। তবে এলআইসি (LIC) তে জীবন বীমা করা অথবা প্রিমিয়াম জমা দেওয়ার জন্য মানুষ এলআইসি (LIC) দ্বারা স্বীকৃত এজেন্টের উপর নির্ভর করে থাকেন। সেক্ষেত্রে এজেন্টদের নিয়ে যদি কোন সমস্যা হয়, তাহলে গ্রাহককেও সমস্যায় পড়তে হয়।

এলআইসি (LIC) -এর নতুন পরিষেবা

ডিজিটালাইজেশনের যুগে অন্যান্য সকল সংস্থাই এখন অর্থনৈতিক লেনদেনের মতো পরিষেবাগুলি অনলাইনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে মধ্যে এনে দিচ্ছে। এমন সময় জীবন বীমার এই সংস্থাও নতুন একটি অনলাইন পরিষেবা শুরু করতে চলেছে। এই নতুন পরিষেবা এলআইসি (LIC) তে এক অনন্য পরিবর্তন হয়ে আসতে চলেছে, তা নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। এলআইসি (LIC) এখন থেকে তাদের গ্রাহকদের হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেই এমন এক পরিষেবা এনে দিতে চলেছে, যেখানে গ্রাহকরা তাদের নিজেদের বেশিরভাগ কাজ নিজেরাই করতে পারবেন।

নতুন পরিষেবায় গ্রাহকদের সুবিধা

তবে গ্রাহকরা চাইলেই তাদের এলআইসি (LIC) -এর সমস্ত পরিষেবা এমনি এমনি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাবেন না। এর জন্য জন্য গ্রাহকদের এলআইসি (LIC) -এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। নতুন এই পরিষেবার মাধ্যমে একজন গ্রাহকের এলআইসি (LIC) -এর পলিসি কেনা বা প্রিমিয়াম জমা দেবার জন্য আর এজেন্টের প্রয়োজন হবে না। এছাড়াও অন্যান্য বেশ কিছু প্রয়োজনীয় কাজও এখন ঠেকর নিজেরাই করে নিতে পারবেন গ্রাহকেরা।

এলআইসি (LIC) -এর কার্যকরিতা

লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া বা এলআইসি (LIC) তার গ্রাহকদের জন্য নিত্য নতুন নানা ধরনের ইন্সুরেন্স পলিসি নিয়ে হাজির হয়। আর এই এলআইসি (LIC) থেকে গ্রাহকেরা তাদের পছন্দ ও সামর্থ্য অনুযায়ী পলিসি ক্রয় করে থাকে। তবে শুধু মাত্র জীবন বিমাই নয়, এলআইসি (LIC) ভবিষ্যতের জন্য অর্থ বিনিয়োগ করার জন্যও একটা বেশ ভালো মাধ্যম। তাই এলআইসি (LIC) – এই নতুন উদ্যোগ তাদের ব্যবসার সম্প্রসারণের ক্ষেত্রেও এক অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। সেই সাথে এলআইসি (LIC) -এ এই  তার কর্মী ও গ্রাহক দুজনেই বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। বিশ্বের যেকোনো জায়গায় থেকেই গ্রাহকেরা এই পরিষেবা ব্যবহার করতে পারবেন।

এলআইসি (LIC) -এর হোয়াটসঅ্যাপে পরিষেবা

এলআইসি (LIC) -এর গ্রাহকেরা এখন থেকে এই পরিষেবার মাধ্যমে নিজেই নিজের প্রিমিয়াম কিনতেও পারবেন। আবার নিজের প্রকল্প সম্পর্কে অনলাইনে যাবতীয় তথ্য পেয়ে যাবেন এক নিমিষে। তবে এই পরিষেবাগুলি পাওয়ার জন্য গ্রাহকদের একটি ছোট কাজ করতে হবে। সেটি হল এলআইসি (LIC) -এর অফিসিয়াল পোর্টালে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করিয়ে নিতে হবে উক্ত গ্রাহককে। এই হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেবা পাবার জন্য কিভাবে করতে হবে রেজিস্ট্রেশন?

রেজিস্ট্রেশন করার পদ্ধতি

১) প্রথমে গ্রাহককে এলআইসি (LIC) -এর অফিসিয়াল লিংকে গিয়ে ক্লিক করতে হবে।

২) তারপর এলআইসি (LIC) পোর্টালের একটি রেজিস্ট্রেশন পেজ খুলে যাবে।

৩) সেখানে গ্রাহকের নাম, ঠিকানা, জন্মের তারিখ, প্যান নম্বর, পলিসি নম্বর, আধার নম্বর এবং মোবাইল নম্বর সহ যাবতীয় সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করতে হবে।

৪) তারপর প্রসেস লেখার উপর ক্লিক করতে হবে।

৫) এরপরই গ্রাহকের নামে এলএইসি (LIC) -এর হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেবার রেজিস্ট্রেশন কার্য সম্পন্ন হয়ে যাবে।

কম প্রিমিয়াম ভালো রিটার্ন

এলআইসি (LIC)-এর প্রায় প্রতিটি পলিসিতেই কম প্রিমিয়ামে মেয়াদ শেষে একটি ভালো অর্থ ফেরত পাওয়া যায়। আর এই বীমায় বিনিয়োগ করাটাও গ্রাহকদের কাছে বেশ ঝুঁকিহীন। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে জীবনবীমা সংক্রান্ত অনেক সুবিধা জনক প্রকল্প দিয়ে থাকে এলআইসি(LIC)। যাতে নাগরিকদের জীবনে অনেক অনিশ্চয়তা দূর করা সম্ভব হয়। আর এলআইসি (LIC) অনলাইন পরিষেবা শুরু করলে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধেই হবে। প্রথম নতুন কোন পলিসি বাজারে এলে সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহক সেটি সম্পর্কে জানতে পারবেন। কারণ এটি হোয়াটসঅ্যাপ নোটিফিকেশনের মাধ্যমে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেবে এলআইসি (LIC) সংস্থা।

জীবন হবে আরো সহজ

এলআইসি (LIC) -এর মতোই একাধিক ব্যাংক অনেক আগেই এই কাজটি শুরু করে দিয়েছে। যার ফলে বাড়িতে বসেই ব্যাঙ্ক-এর নানা কাজ করে নেওয়া যায়। তার জন্য ব্যাঙ্ক যাবার দরকার পরে না। আর এই কারণের জন্যে মানুষের জীবন অনেক সহজ হয়ে উঠছে। আশা করা যায় ঠিক এমন ভাবেই এলআইসি (LIC) -এর এই পদক্ষেপও সাধারণ মানুষের জীবন আরো সহজ করে তুলবে।

]]>
https://bn365.techiteasy.in/lif-insurence-of-india-starts-to-provide-service-through-whatsapp/feed/ 0 236