India – BN365 Copy https://bn365.techiteasy.in Mon, 18 Sep 2023 05:42:37 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.7.1 https://bn365.techiteasy.in/wp-content/uploads/2022/11/BN365-logo-256p-150x150.png India – BN365 Copy https://bn365.techiteasy.in 32 32 242097359 Nipah Virus in India: কেরালায় আবার নিপা ভাইরাসের আতঙ্ক! সংক্রমণ ছড়াতে পারে? https://bn365.techiteasy.in/nipah-virus-in-india-causes-fear-nationwide/ https://bn365.techiteasy.in/nipah-virus-in-india-causes-fear-nationwide/?noamp=mobile#respond Mon, 18 Sep 2023 05:42:35 +0000 https://bn365.techiteasy.in/?p=4608 Nipah Virus in India: কোভিড-১৯ এর পর বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের নাম আমাদের সামনে এসেছে। সেরকমই একটি ভাইরাসের নাম হল নিপা ভাইরাস। ইতিমধ্যে খোঁজ মিলেছে দুজন সংক্রামিত ব্যক্তির। মৃত্যু হয়েছে নাকি দুজনের। খবরটি সামনে আসতেই বিভিন্ন প্রচারের মাধ্যমে গোটা রাজ্যকে সতর্ক করা হচ্ছে।

সংক্রমণের উৎস্যস্থল

গত মঙ্গলবার কেরালার (Kerala) কোজিকোড় নামে একটি গ্রামে চারজন বাসিন্দার শরীরে এই ভাইরাসের দেখা মেলে। তাদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি দুজনকে কন্টেনমেন্ট জনে রাখা হয়েছে। এছাড়া এই গ্রামের আশেপাশের গ্রামগুলো যেমন- আতানচেরি, মারুথনকারা, কুট্টিভাদি, কাভিলামপাড়া এবং ভিল্লাপাল্লি ইত্যাদি পঞ্চায়েত গ্রামগুলিকে কন্টেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

Nipah Virus in India – ভাইরাসটি নিয়ে সমীক্ষা

ভাইরাসটি কোথা থেকে উৎপত্তি হয়েছে সেটা পরীক্ষা করে দেখার জন্য ইতিমধ্যে পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির একটি দল কেরালায় পৌঁছে গিয়েছে এবং কোজিকোড় মেডিকেল কলেজে একটি মোবাইল ল্যাব বসানো হয়েছে। বাদুড় নিয়েও সমীক্ষা করা হবে একথাও জানানো হয়েছে। এছাড়া চেন্নাই থেকে একদল এপিডেমিওলজিস্ট আসছেন। পাশাপাশি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ এবং মবোক্লোনাল অ্যান্টিবডি পাঠাচ্ছে নিপা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য।

Nipah Virus in India: কেরালা থেকে কি পুরো ভারতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে?
Nipah Virus in India: কেরালা থেকে কি পুরো ভারতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে?

Nipah Virus in India – স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মতামত

ঘটনার পরের দিন অর্থাৎ বুধবার কেরলের বিধানসভার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ জানিয়েছেন, এই ভাইরাসটি নিপা ভাইরাসের বাংলাদেশ ভ্যারিয়েন্ট যা মানবদেহ থেকে অপর মানবদেহে সংক্রামিত হয়। এই স্টেনের সংক্রমণের হার কম হলেও মৃত্যুহার অনেক বেশি। তাই সবাইকে বারবার করে সতর্ক করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন -> Adenovirus: অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত পশ্চিমবঙ্গের বহু শিশু; কিভাবে সাবধানে রাখবেন সন্তানদের?

সরকার কর্তৃক ব্যবস্থাপনা

নিপা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য কেরল সরকার বিভিন্ন ব্যবস্থাপনা জারি করছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ সিপিআই বিধায়ক পি বালাচন্দ্রনকে জানান, কন্ট্যাক্ট টেস্টিং, নজরদারি, কোনটায় সংক্রমণ কম এবং কোনটায় সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে আইসোলেশন সেন্টার তৈরি করা হচ্ছে, কনটেন্টমেন্ট জোন চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।

এই ধরনের আরো খবর পেতে চোখ রাখুন বেঙ্গলি নিউজ ৩৬৫ এর পাতায়।

]]>
https://bn365.techiteasy.in/nipah-virus-in-india-causes-fear-nationwide/feed/ 0 4608
INS Vindhyagiri: ভারত জলে নামাল এই ভয়ঙ্কর যুদ্ধজাহাজ, আতঙ্কে চীন-পাকিস্তান https://bn365.techiteasy.in/indian-warship-ins-vindhyagiri-flexes-muscles/ https://bn365.techiteasy.in/indian-warship-ins-vindhyagiri-flexes-muscles/?noamp=mobile#respond Mon, 28 Aug 2023 06:48:23 +0000 https://bn365.techiteasy.in/?p=4291 Indian Warship INS Vindhyagiri: ভারতীয় যুদ্ধ জাহাজ বিন্ধ্যাগিরির যাত্রা শুরু হতে না হতেই চাপের মুখে চির প্রতিদ্বন্দ্বী দুই পার্শ্ববর্তী দেশ চিন ও পাকিস্তান। ১৭ই আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতার খিদিরপুর ডক থেকে স্টেলথ গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেডের উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মূ। নৌসেনার এই যুদ্ধ জাহাজটির নাম আইএনএস বিন্ধ্যাগিরি। এই ফ্রিগেডটি ভারতীয় নৌবাহিনীর পি-১৭ প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত। যুদ্ধ জাহাজটি নির্মাতা হল কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ার্স (জিআইএস)।

আইএনএস বিন্ধ্যাগিরি (INS Vindhyagiri)

ভারতীয় নৌবাহিনী পি-১৭ প্রকল্পের আওতায় পুরোপুরি নিজস্ব প্রযুক্তিতে মোট সাতটি স্টেলথ গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেড তৈরি করছে। তার মধ্যে অন্যতম এবং শেষ জাহাজটি হল এই আইএনএস বিন্ধ্যাগিরি। এই জাহাজের মধ্যে রয়েছে অত্যাধুনিক সব ফিচারস, আধুনিক সেন্সর। এই ফ্রিগেডটির সাহায্যে অত্যন্ত সহজেই জলের নিচে থাকা সাবমেরিন ট্রাক করা সম্ভব।

উদ্বোধন অনুষ্ঠান

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বোতাম টিপে আইএনএস বিন্ধ্যাগিরির (INS Vindhyagiri) উদ্বোধন করেন। একই সঙ্গে জাহাজের গায়ে স্বস্তিকা চিহ্ন এঁকে দেন রাষ্ট্রপতি। তার আগে নারকেল ফাটিয়ে জাহাজের পুজো করলেন তিনি।

Warship INS Vindhyagiri: কলকাতার খিদিরপুর ডক থেকে স্টেলথ গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেডের বা  যুদ্ধ জাহাজের উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মূ
Warship INS Vindhyagiri: কলকাতার খিদিরপুর ডক থেকে স্টেলথ গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেডের বা যুদ্ধ জাহাজের উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মূ

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নৌ বাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল পি হরি কুমার সহ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যুদ্ধ জাহাজটি নির্মাণ করার জন্য রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ার্সকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। জলসীমায় পাহারাদার হিসাবে নৌবাহিনীরা যেভাবে কাজ করছেন এবং দেশকে সুরক্ষা প্রদান করছেন রাষ্ট্রপতি তাঁর বক্তৃতার মাধ্যমে তাঁদের এই অবদানের কথা তুলে ধরেছেন। এছাড়া নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল পি হরি কুমার তার গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য তুলে ধরেছেন।

প্রয়োজনীয়তা

১৯৭২ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত নীলগিরি শ্রেণীর ৬টি যুদ্ধ জাহাজ পরিষেবা দেওয়ার পর তাদের মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে তা অবসৃত হয়ে যায়। তার পরিবর্তে অ্যাডভান্সড শ্রেণীর সাতটি যুদ্ধ জাহাজ তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়, যার মোট ব্যয় ১৯২০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৪ টি মুম্বাই সংলগ্ন মাজগাঁওতে এবং ৩টি কোলকাতার গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্সের কারখানায় তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পি-১৭ এর প্রকল্পের সর্বশেষ যুদ্ধ জাহাজ আইএনএস বিন্ধ্যাগিরি (INS Vindhyagiri) ১৭ই আগস্ট জলপথে নামল।

ফিচার্স

এই জাহাজটি সজ্জিত করা হবে এমএফ স্টার শ্রেণীর বহুবিধ সুবিধা যুক্ত রাডার দিয়ে। জাহাজে থাকবে দুটি গ্যাস টারবাইন এবং দুটি ডিজেল ইঞ্জিন। ২২০ জন নৌসেনা সহ অধিকারিরা থাকতে পারবেন এই জাহাজে। চার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা সম্পন্ন জেনারেটর রয়েছে এই জাহাজে। ১৫০ মিটার লম্বা এবং ৩৭ মিটার উঁচু এই জাহাজটি অ্যান্টি সাবমেরিন ওয়েপন সিস্টেম দিয়ে সজ্জিত হয়েছে যা মাঝ সমুদ্রে শত্রুদের ঘুম উড়িয়ে দিতে সক্ষম। আইএনএস বিন্ধ্যাগিরি (INS Vindhyagiri) সমুদ্রের ঢেউয়ের ওপর ঘন্টায় ৫২ কিমি গতিতে ছুটতে সক্ষম।

আরও পড়ুন -> Largest Company in India: দেশের সেরা ১০ কোম্পানির তালিকা, বড় চমক রইল

গোলা-বারুদ

প্রায় ৬৬০০ টনের এই জাহাজে থাকবে একাধিক গাইডেড মিসাইল এবং দিকদর্শী ক্ষেপনাস্ত্র উৎক্ষেপণ করার ব্যবস্থা। এছাড়াও আরও চল্লিশটি ক্ষেপণাস্ত্র, তিনটি মেশিন গান এবং চারটি টপের্ডো থাকবে আইএনএস বিন্ধ্যাগিরিতে (INS Vindhyagiri)। বিভিন্ন উচ্চতায় এবং বিভিন্ন দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা যাবে এই জাহাজ থেকে। এছাড়া এটি ৬৬৭০ টন গোলা বারুদ এবং অন্যান্য জিনিসপত্র বহন করার ক্ষমতা রাখে। শক্তিশালী এই জাহাজ থেকে বারাক-৮ মিসাইল লঞ্চ করতে সক্ষম এর পাশাপাশি আধুনিক রাডার সিস্টেম রয়েছে এই জাহাজে।


এই রকম আরও খবর পেতে চোখ রাখুন বেঙ্গলি নিউজ ৩৬৫ এর পাতায়।

]]>
https://bn365.techiteasy.in/indian-warship-ins-vindhyagiri-flexes-muscles/feed/ 0 4291
Moon Landing: ভারত সফল কিন্তু রাশিয়ার লুনা-২৫ চাঁদে অবতরণে ব্যর্থ কেন? https://bn365.techiteasy.in/moon-landing-india-succeeded-but-russia-failed/ https://bn365.techiteasy.in/moon-landing-india-succeeded-but-russia-failed/?noamp=mobile#respond Wed, 23 Aug 2023 20:22:32 +0000 https://bn365.techiteasy.in/?p=4288 Moon Landing: চাঁদের মাটিতে রুশ মহাকাশযান লুনা-২৫ ভেঙে পড়ায় ইতিহাস গড়তে ব্যর্থ হলো রাশিয়া। গত সোমবার চাঁদের মাটিতে অবতরণ করার কথা ছিল রাশিয়ার এই মহাকাশযানটির। কিন্তু ভারতের পর মহাকাশ যান লঞ্চ করে গতির দিক থেকে ভারতকে টপকে গিয়ে চাঁদে নামতে গিয়ে ব্যর্থ হল এই রাশিয়ার মহাকাশযান। রবিবার রুশ মহাকাশ সংস্থা রসকসমসের এক বিবৃতিতে এই খবর জানা গেছে। যদি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সোমবার রুশ মহাকাশযান অবতরণ করতে পারত তাহলে নতুন ইতিহাস গড়তে পারতো রাশিয়া। কিন্তু স্বপ্নপূরণ ব্যর্থ হয়ে গেল।

চন্দ্রাভিযানের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস / Brief History of Moon Landing

চাঁদে মানুষের অভিযান এই প্রথম নয়। পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়ন (অধুনা রাশিয়া) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (আমেরিকা)-এর মধ্যকার ঠান্ডা যুদ্ধ চলাকালীন সময় থেকেই চন্দ্রাভিযানের প্রতিযোগিতা তুঙ্গে উঠেছিল। রাজনৈতিক ক্ষমতা থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক, প্রযুক্তিগত, বিজ্ঞান, ক্রীড়া জগত সহ সবক্ষেত্রেই একে অপরকে ছাপিয়ে যাওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতায় মেতেছিল দুই দেশ। যার ফল স্বরূপ আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা কর্তৃক পরিচালিত অ্যাপেলো-১১ মিশনের মাধ্যমে ১৯৬৯ সালের ২০শে জুলাই প্রথমবারের মতো চাঁদের মাটিতে পা রাখে মানুষ (Moon Landing)।

তারপর ১৯৬৯ সালের জুলাই মাস থেকে ১৯৭২ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত নাসা ছয় বারে ১২ জন মানুষকে চাঁদে পাঠায়। বরং তার উল্টোদিকে রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র রসকসমস একবারও চাঁদে মানুষ পাঠাতে পারেনি। যার ফলে দুই মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের মধ্যে প্রতিযোগিতার অবসান ঘটে। আর তার পাশাপাশি গোটা বিশ্বের মানুষের মতো মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রগুলির কাছেও চাঁদে মানুষ পাঠানোর গুরুত্ব হ্রাস পায়। তাই ১৯৭২ সালের পর ৫ দশক কেটে গেলেও পৃথিবী থেকে কোন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রই চাঁদে মানুষ পাঠায়নি।

Chandrayaan 3 of India did successful moon landing, but why did Russia's Luna-25 fail? ভারতের চন্দ্রযান-৩ চাঁদে অবতরণে সফল, তবে রাশিয়ার লুনা-২৫ ব্যর্থ কেন?
Chandrayaan 3 of India did successful moon landing, but why did Russia’s Luna-25 fail?
ভারতের চন্দ্রযান-৩ চাঁদে অবতরণে সফল, তবে রাশিয়ার লুনা-২৫ ব্যর্থ কেন?

লুনা-২৪ এর চন্দ্রাভিযান / Moon Landing of Luna 24

লুনা-২৫ এর আগে রাশিয়া কর্তৃক লুনা-২৪ মিশনটি লঞ্চ করা হয়েছিল আজ থেকে ৪৭ বছর আগে ১৯৭৬ সালের ৯ই অগাস্ট। লুনা-২৪ মডিউলটি ১৮ই অগাস্ট ১৯৭৬ সালে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করে ১৭০.১ গ্রাম স্যাম্পেল সংগ্রহ করে পৃথিবীতে ফিরে আসে। রাশিয়া বা আমেরিকার পাশাপাশি চীনও চাঁদে অভিযান চালিয়েছে। যদিও এত দেশের এই সমস্ত এত চন্দ্রাভিযানের কোন ল্যাণ্ডারই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মহাকাশ যান অবতরণ করতে পারেনি। বুধবার চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে (South Pole) অবতরণ করার কথা ভারতের চন্দ্রযান-৩ এর। তাই বর্তমানে একমাত্র ভারতের কাছেই রয়েছে ইতিহাস গড়ার সুবর্ণ সুযোগ।

লুনা-২৫ এর অভিযান ব্যর্থ হওয়ায় কারণ / Why Luna 25’s Moon Landing Failed?

রুশ মহাকাশ সংস্থা শনিবারই রুশ মহাকাশযান নিয়ে সংশয়ে ছিলেন। মহাকাশ সূত্রের খবর আর এক ধাপ পেরোলেই চাঁদের সবচেয়ে কাছের কক্ষপথে পৌঁছে যেত। শনিবার সর্বশেষ কক্ষপথে নামার আগে ভারতীয় মহাকাশযানের গতিকে টপকাতে গিয়ে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয় লুনা-২৫। ফলস্বরূপ নির্দিষ্ট পরিমাপ ও পরিকল্পনা অনুযায়ী তার কক্ষপথে পৌঁছাতে পারিনি। যদিও রস কস মস থেকে জানানো হয়েছে যে, দীর্ঘ যাবৎকাল ধরে চন্দ্রাভিযানে (৪৭ বছর) লিপ্ত না থাকায় পূর্বের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান নষ্ট হয়েছে। তাই প্রায় ৫০ বছর পর রাশিয়ার চাঁদে মহাকাশযান পাঠানোরর প্রথম অভিযান ব্যর্থ হয়েছে।

আরও পড়ুন -> ISRO RLV: পুনঃব্যবহারযোগ্য রকেট উৎক্ষেপণে বিরাট সাফল্য ভারতের

চন্দ্রযান-৩ বনাম লুনা-২৫

অন্যদিকে ভারতের চন্দ্রযান-৩ এর বুধবার চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামার কথা। মূল মহাকাশযান থেকে বিচ্ছেদের পর দক্ষিণ মেরুতে প্রস্থানের জন্য নিজস্ব গতি কমাচ্ছে এই যান। ISRO এর পরিকল্পনায় পাখির পালকের মতো আলতো করে চাঁদের মাটিতে অবতরণ (Moon Landing) করানো হবে ভারতীয় চন্দ্রযানকে। যাকে বলা হয় ‘সফ্ট ল্যান্ডিং’ (Soft Landing)। গত ১৪ই জুলাই ভারত তথা পৃথিবীর মাটি ত্যাগ করে চাঁদের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছে চন্দ্রযান চন্দ্রযান-৩। আর এইদিকে, ১০ই অগাস্ট চাঁদের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছিল লুনা-২৫ এবং চাঁদের বুকে ভেঙে পড়ে ২০ শে আগস্ট। সুতরাং, রাশিয়া অনেক তাড়াহুড়ো করে ফেলেছিলো কিনা – এ নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে।

ভারতীয় নাকি রাশিয়ান চন্দ্রযান কোনটি আগে চাঁদের মাটি স্পর্শ (Moon Landing) করবে তা নিয়ে সংশয় ও আলোচনার অন্ত ছিল না বিশ্ব জুড়ে। কিন্তু সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হল মস্কো। শনিবার রাশিয়ার মহাকাশযানে বিপত্তি দেখা দেওয়ার পরপরই রবিবার দুপুরে সংবাদ মাধ্যমে জানা গেছে, চাঁদে রুশ মহাকাশযান তার অভিষ্ট লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ।


এই ধরনের আরও খবর পেতে চোখ রাখুন বেঙ্গলি নিউজ ৩৬৫ এর পাতায়।

]]>
https://bn365.techiteasy.in/moon-landing-india-succeeded-but-russia-failed/feed/ 0 4288
First Indian Billionaire: স্বাধীন ভারতের প্রথম ধনকুবের। ৫০ টি রোলস রয়েস সহ ৩ লক্ষ্য কোটি টাকার সম্পত্তি! https://bn365.techiteasy.in/first-indian-billionaire-and-his-amazing-story/ https://bn365.techiteasy.in/first-indian-billionaire-and-his-amazing-story/?noamp=mobile#respond Tue, 25 Jul 2023 20:16:05 +0000 https://bn365.techiteasy.in/?p=4054 The First Indian Billionaire: ভারতের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি ধনকুবের মুকেশ আম্বানি, গৌতম আদানি, শিব নাদার প্রমূখদের সম্পর্কে নানাবিধ তথ্য বিভিন্ন মহল থেকে আমরা মাঝেমধ্যেই পেয়ে থাকি। কিন্তু জানেন কি ভারতের প্রথম ধনকুবের কে ছিলেন?

কে ছিলেন স্বাধীন ভারতের প্রথম ধনকুবের? – The First Indian Billionaire

স্বাধীন ভারতের প্রথম ধনকুবের (First Indian Billionaire) কোন শিল্পপতি ছিলেন না। যদিও সেই ধনকুবের ছিলেন ভীষণ রকম কৃপণ এবং অপরিচ্ছন্নতার জন্য নিন্দনীয়। তিনি হলেন হায়দ্রাবাদের নিজাম মীর ওসমান আলী খান (Nizam Mir Osman Ali Khan)। ওনার সম্বন্ধে যত জানবেন ততই অবাক হবেন। শোনা যায়, স্বাধীন ভারতের প্রথম এই ধনকুবের নাকি এতটাই বিত্তশালী ছিলেন যে, একটি ১০০ কোটি টাকার হীরেকে পেপার ওয়েট হিসাবে ব্যবহার করতেন। তাঁর সম্পত্তি সংক্রান্ত অনেক নথিও পাওয়া গিয়েছে পরবর্তীকালে।

নিজাম মীর ওসমান আলী খান

১৯১১ সালে হায়দ্রাবাদের নিজাম হিসাবে অভিষিক্ত হন মীর ওসমান আলী খান। ১৯৪০ দশকের গোড়ার দিকে নিজামের খাজানা মোট আনুমানিক ১৭০০ কোটি টাকার ছিল, যার বর্তমান মূল্য প্রায় ২,৯৫,৭৭০ কোটি টাকার সমান। পরবর্তী কয়েক বছরে তা অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছিল। ১৯৪৭ সালের ১৫ ই আগস্ট ভারত স্বাধীন হওয়ার পরও নিজাম পদে ছিলেন মীর ওসমান আলী খান। এরপর হায়দ্রাবাদ ভারতের সঙ্গেই যুক্ত হয় ১৯৪৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে।

First Indian Billionaire: হায়দ্রাবাদের নিজাম মীর ওসমান আলী খান
First Indian Billionaire: হায়দ্রাবাদের নিজাম মীর ওসমান আলী খান

নিজাম মীর ওসমান আলী খান-এর বিপুল সম্পত্তি

সিলভার ঘোস্ট থ্রোন গাড়িসহ ৫০ টি রোলস রয়েস গাড়ির মালিক ছিলেন নিজাম আলি। অগাধ রূপো এবং সোনা ছাড়াও বিশ্বের উচ্চমানের অনেকগুলি হীরের মালিক ছিলেন তিনি। সেগুলি হল নূর-উল-আইন-ডায়মন্ড, কোহ-ই-নূর, হোপ ডায়মন্ড, দরিয়া-ই-নূর, রিজেন্ট ডায়মন্ড, প্রিন্সি ডায়মন্ড ইত্যাদি। এইসব তথ্য থেকেই বোঝা যায় কতটা পরিমাণ বিত্তশালী ছিলেন তিনি। যদিও স্বাধীন ভারতের প্রথম এই ধনকুবের (First Indian Billionaire) সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। নিজামের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থাৎ ১৭.৪৭ লক্ষ্য কোটি টাকা।

আরও পড়ুন – Gold Seen From Space: অরণ্যে ছড়ানো টন টন সোনা, মহাকাশ থেকে দেখা ছবি

নিজাম মীর ওসমান আলী খান-এর কৃপণতা

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী নিজাম আলি স্বাধীন ভারতের প্রথম ধনকুবের (First Indian Billionaire) হওয়া সত্তেও, এতটাই অপরিচ্ছন্ন ছিলেন যে তিনি বছরে মাত্র একবার তাঁর ঘর পরিষ্কার করার অনুমতি দিতেন। হায়দ্রাবাদের নিজাম হওয়া সত্বেও খুবই সাদামাটা পোশাকেই তিনি তাঁর জীবন অতিবাহিত করেছিলেন। বিপুল সম্পত্তির মালিক হওয়া সত্ত্বেও তাঁর চরম কৃপণতার দরুন তিনি অতিথি আপ্যায়ন করতেন শুধুমাত্র চা এবং বিস্কুট দিয়ে। অতিথিদের পিছনে এর থেকে বেশি টাকা ব্যয় করা তাঁর অপছন্দের তালিকার শীর্ষ স্থানে ছিল।

(বাম থেকে ডানে): তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু, নিজাম মীর ওসমান আলী খান এবং মেজর জেনারেল জয়ন্ত নাথ চৌধুরী। এই ফটো তোলা হায়দ্রাবাদ ভারতের সাথে যুক্ত হওয়ার পর।
(বাম থেকে ডানে): তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু, নিজাম মীর ওসমান আলী খান এবং মেজর জেনারেল জয়ন্ত নাথ চৌধুরী। এই ফটো তোলা হায়দ্রাবাদ ভারতের সাথে যুক্ত হওয়ার পর।

নিজাম মীর ওসমান আলী খান-এর রত্নভান্ডার:

তৎকালীন যুগে নিজাম আলীকে সর্বকালের সেরা ধনী ব্যক্তি হিসাবে গণ্য করা হতো। তাঁর বিশাল সম্পত্তির যে নথি পাওয়া গিয়েছে সে অনুসারে একটি বেসরকারি বিমান সংস্থার মালিক ছিলেন তিনি। তাঁর শাসনকালে নিজস্ব মুদ্রা প্রচলন করেছিলেন নিজাম আলী। তাঁর রত্নকোষ সুসজ্জিত ছিল ৪০০ মিলিয়ন পাউন্ড রত্নে এবং ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড সোনায়। রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথকে নিজাম তাঁর বিয়েতে ৩০০ টি হীরে জড়ানো নেকলেস উপহার দিয়েছিলেন। গোলকুণ্ডা হীরের খনি তাঁরই অধীনে ছিল এবং সেটিই ছিল তাঁর এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির অন্যতম উৎস।

আরও পড়ুন – 100 Rupees Coin: ১০০ টাকার কয়েন আনতে চলেছেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী


এই ধরনের আরও খবর পেতে চোখ রাখুন বেঙ্গলি নিউজ ৩৬৫ এর পাতায়।

]]>
https://bn365.techiteasy.in/first-indian-billionaire-and-his-amazing-story/feed/ 0 4054
Chandrayaan 3: কিভাবে চাঁদে নামবে ভারতের মহাকাশযান? অবাক গোটা বিশ্ব https://bn365.techiteasy.in/chandrayaan-3-how-will-india-reach-the-moon/ https://bn365.techiteasy.in/chandrayaan-3-how-will-india-reach-the-moon/?noamp=mobile#respond Sun, 16 Jul 2023 20:53:13 +0000 https://bn365.techiteasy.in/?p=3957 চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) এর সফল উৎক্ষেপণে অবাক পুরো পৃথিবী। চাঁদের মাটিতে অবতরণের জন্যে ভারত তথা ইসরোর এই মহাকাশযান বা রকেটকে আর কি কি ধাপ সম্পন্ন করতে হবে?

চন্দ্রযানের ইতিহাস (History of Chandrayaan)

রহস্যময়ী চাঁদকে ঘিরে আমাদের কৌতূহল চিরকালীন। ১৯৬৯ সালে সর্বপ্রথম চাঁদের মাটিতে পা রেখেছিলেন নীল আর্মস্ট্রং। চন্দ্রযানের ইতিহাস ঘেঁটে দেখলে দেখা যাবে ২০০৮ সালে ভারত চন্দ্রযান-১ মাধ্যমে চাঁদের কক্ষে প্রথম পৌঁছেছিল। এরপর ২০১৯ সালের ২২ শে জুলাই চন্দ্রযান-২ পাঠানো হয়েছিল বিভিন্ন প্রকার গবেষণামূলক কার্য সাধনের জন্য। চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে ১৪ ই জুলাই দুপুর ২ টো ৩৫ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে।

Very first seconds of Chandrayaan 3 launch / চন্দ্রযান-৩ এর উৎক্ষেপণের শুরুর মুহূর্ত
Very first seconds of Chandrayaan 3 launch / চন্দ্রযান-৩ এর উৎক্ষেপণের শুরুর মুহূর্ত

চন্দ্রযান-৩ এর অংশগুলি (Modules of Chandrayaan 3)

চাঁদের উদ্দেশ্যে এই উৎক্ষেপণটি সম্পন্ন করার জন্য সাহায্য নেওয়া হয়েছে LVM 3 রকেটের। এই অভিযানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে একটি ল্যাণ্ডার এবং একটি রোভার। চাঁদের মাটিতে অবতরণের জন্য সাহায্য করবে ল্যাণ্ডার এবং অবতরণের পর মাটিতে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করতে সাহায্য করবে রোভার।

এই তৃতীয় চন্দ্রযানটির উদ্দেশ্য (Objective of Chandrayaan 3)

চাঁদের অন্ধকারাচ্ছন্ন দক্ষিণ অংশে বিশ্বের কোন দেশই চূড়ান্ত সফলভাবে গবেষণা করতে পারেনি এখনো পর্যন্ত। তবে রাশিয়া, চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রভৃতি দেশের মহাকাশ যান অবতরণ সফল হয়েছে চাঁদের এই পৃষ্ঠে এবং পর্যবেক্ষণ ও গবেষণার কাজও শুরু করে দিয়েছেন তারা। এবার ভারতের পালা অবতরণের ক্ষেত্রে। চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3)-এর আগে ২০১৯ সালের ভারত এবং ইজরায়েল শুরু করেছিল তাদের চন্দ্র যাত্রা। ইজরায়েলের মহাকাশযানটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল চাঁদের কক্ষে প্রবেশ করার সাথে সাথেই। আর ভারতের ল্যাণ্ডারটি অবতরণের পূর্ব মুহূর্তে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

এছাড়াও চন্দ্র অভিযানে ব্যর্থ হয়েছে জাপান, আমিরশাহির মত দেশও। তবে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর এবারের লক্ষ্য গত ভুল ত্রুটি গুলি শুধরে সঠিকভাবে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করা। প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত গতিবেগ, ইলেকট্রনিক্স ভুলভ্রান্তি এবং সেন্সরের ব্যর্থতা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ইসরোর শুরু করেছে আজকের চন্দ্রাভিযান।

After successful launch of Chandrayaan-3 / চন্দ্রযান-৩ এর সফল উৎক্ষেপণের পর
After successful launch of Chandrayaan-3 / চন্দ্রযান-৩ এর সফল উৎক্ষেপণের পর

আরও পড়ুন -> ISRO RLV: পুনঃব্যবহারযোগ্য রকেট উৎক্ষেপণে বিরাট সাফল্য ভারতের

চন্দ্রযান-৩ এর অবতরণ প্রক্রিয়া (Chandrayaan 3 Landing Procedure)

চন্দ্রযান-৩ প্রায় ১৭৯ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছানোর পর পৃথিবীর চারপাশে একটি কক্ষপথে প্রবেশ করবে। এরপর ধীরে ধীরে তার কক্ষপথ টিকে বৃদ্ধি করবে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি এড়িয়ে এবং চাঁদের দিকে ছুটে চলার জন্য। এরপর চাঁদের কাছাকাছি পৌঁছে চাঁদের আকর্ষণ সামলে নিয়ে ধীরে ধীরে চন্দ্রপৃষ্ঠের কাছে পৌছবে। এর জন্য ধীরে ধীরে চন্দ্রযান তার কক্ষপথ ছোট করে আনবে। এরপরে চন্দ্রযান থেকে ল্যাণ্ডার বিচ্ছিন্ন হবে যার মধ্যে রয়েছে রোভার। এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে সময় নেবে ৪২ দিন। অর্থাৎ ১১ ই আগস্ট চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করবে ল্যাণ্ডার।

চন্দ্রপৃষ্ঠে গবেশনার উপজীব্য

পাঁচটি যন্ত্র সম্বলিত রোভারের মূল উদ্দেশ্য চন্দ্রপৃষ্ঠের বায়ুমণ্ডল, এবং এর প্রাকৃতিক চরিত্র বিশ্লেষণ করা। এছাড়াও চন্দ্রপৃষ্ঠের নিচে কি কি রয়েছে সেগুলি পর্যবেক্ষণ করাও রোভারের আরেকটি কাজ। ইসরোর তরফ থেকে জানানো হয়েছে চন্দ্রপৃষ্ঠের রাসায়নিক বিশ্লেষণ করে চাঁদের আনুমানিক বয়স নির্ধারণ করার এক বিশেষ চেষ্টা করা হবে এই অভিযানের মাধ্যমে। ভারতসহ গোটা বিশ্ব এই অভিযানের ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।


আরও পড়ুন -> Gold Seen From Space: অরণ্যে ছড়ানো টন টন সোনা, মহাকাশ থেকে দেখা ছবি

এই ধরনের আরও খবর পেতে চোখ রাখুন বেঙ্গলি নিউজ ৩৬৫ এর পাতায়।

]]>
https://bn365.techiteasy.in/chandrayaan-3-how-will-india-reach-the-moon/feed/ 0 3957
Recession in India: মন্দার আশঙ্কা উন্নত দেশগুলিতে, কি অবস্থা ভারতের? https://bn365.techiteasy.in/probability-of-recession-in-india-in-2023/ https://bn365.techiteasy.in/probability-of-recession-in-india-in-2023/?noamp=mobile#respond Sat, 27 May 2023 08:45:01 +0000 https://bn365.techiteasy.in/?p=3359 বিশ্বে মন্দার খবর আসতে না আসতেই আমরা অনেকেই “Recession in India” লিখে সার্চ করা শুরু করে দিয়েছি। ভারতেও কি মন্দার ঢেউ আছড়ে পড়বে? জানতে চাইছি আমরা অনেকেই। যেখানে বিশ্বের তাবড় তাবড় উন্নত দেশগুলিতে মন্দা শুরু হয়ে গেছে অথবা মন্দার সম্মুখে দাঁড়িয়ে, সেখানে ভারতে কি হতে চলেছে? এই প্রতিবেদনে আমরা জেনে নেব যে ভারতে মন্দার সম্ভাবনা ঠিক কতটা?

Recession in US: আমেরিকাতে অর্থনৈতিক সংকট কি অবস্থায়?

সম্প্রতি আমেরিকার জন্য অর্থনৈতিক সংকট ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সে দেশে একের পর এক শক্তিশালী ব্যাংক মুখ থুবড়ে পড়ছে। এই নিয়ে চলতি বছরে তিনটি বড় বড় ব্যাংক অর্থনৈতিক মন্দার শিকার হয়েছে। আমেরিকাতে শুধুমাত্র ব্যাংকগুলোর দুরাবস্থা নয়, তার পাশাপাশি দেখা দিয়েছে নগদ অর্থ সংকট। আমেরিকার অর্থমন্ত্রী কড়া বার্তা দিয়েছেন যে, ১ লা জুনের মধ্যে ঋণের সীমা যদি বাড়ানো না হয় তাহলে ইতিহাসে প্রথমবার আমেরিকার ঋণ খেলাপি বলে ঘোষিত হবে। এর ফলে আমেরিকার অর্থনৈতিক অবস্থা আরো বেশি সংকটের মুখে পড়েছে।

Recession in World: অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কায় গোটা বিশ্ব

কি ভাবছেন শুধুমাত্র আমেরিকাতেই এই রকম আর্থিক সংকট আসতে চলেছে? ব্যাপারটি মোটেই তা নয়। আমেরিকার পাশাপাশি ইউরোপের বহু বড় বড় দেশও অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে। সেই তালিকায় আছে ফ্রান্স, কানাডা, ইতালি ও জার্মানির মতো শক্তিশালী দেশগুলো পর্যন্ত। তবে এই সব দেশ গুলি বাদেও তালিকাতে আরো যেসব দেশগুলির নাম আছে সেগুলি হলো দক্ষিণ আফ্রিকা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, রাশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া। এই দেশ গুলিতে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা চরমে পৌঁছেছে। স্বাভাবিকভাবে আপনার মনে হতে পারে এই কঠিন পরিস্থিতিতে ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা ঠিক কি পর্যায়ে রয়েছে?

World of Statistics' list showing probability of recession in India / World of Statistics-এর তালিকায় ভারতে মন্দার সম্ভাবনা দেখানো হয়েছে
World of Statistics’ list showing probability of recession in India / World of Statistics-এর তালিকায় ভারতে মন্দার সম্ভাবনা দেখানো হয়েছে

Recession in India: কোথায় দাঁড়িয়ে ভারতের অর্থনীতি

শুনলে অবাক হতে হবে যে, যেখানে পশ্চিমা বিশ্বের বড় বড় দেশগুলি এমনকি চীনের অর্থনীতিও ধুঁকছে সেই পরিস্থিতিতে দাড়িয়ে ভারতে অর্থনৈতিক মন্দার সম্ভাবনা আছে একেবারে শূন্য শতাংশ। অর্থাৎ, অর্থনৈতিক মন্দার সম্ভাবনা একদমই নেই। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই মুহূর্তে ভারতের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আগের তুলনায় আরো গতিশীল হয়েছে।

বিশেষ করে, করোনা পরিস্থিতির পর সারা বিশ্বের মত ভারতেও রুখে গিয়েছিল অর্থনৈতিক অগ্রগতির চাকা। তবে দেশের অর্থনীতির নীতি নির্ধারকরা বেশকিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়ায় তা আবার গড়াতে শুরু করেছে। IMF-এর মত অনুযায়ী, ভবিষ্যতে বিশ্বের সবথেকে গতিশীল ও বর্ধনশীল অর্থনীতি হবে ভারতীয় অর্থনীতি।

Why no recession in India: কিভাবে ভোল বদল ভারতীয় অর্থনীতির

এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে কিভাবে ভারতের অর্থনীতি শক্তিশালী হয়েছে? অতীতে নেওয়ার বেশ কয়েকটি ইতিবাচক পদক্ষেপের সুফল ঘরে তুলছে ভারতীয় অর্থনীতি। জিএসটি সংগ্রহের সমস্ত রেকর্ড গত এপ্রিল মাসে ভেঙে ফেলেছে ভারত। এছাড়া ম্যানুফ্যাকচারিং পিএমআইও চার মাসের মধ্যে শীর্ষে পৌঁছেছে। এসব বাদেও অটো মোবাইল কোম্পানি গুলির বিক্রিও এপ্রিলে অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল। এগুলো থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, যখন গোটা বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দায় ভুগবে, ভারতের অর্থনীতি যথেষ্ট শক্তিশালী অবস্থায় থাকবে।

World of Statistics: ওয়ার্ল্ড অফ স্ট্যাটিস্টিক্স এর সমীক্ষা

ওয়ার্ল্ড অফ স্ট্যাটিস্টিক্স এর মতে, সারা দেশব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার ভ্রুকুটি থাকলেও, এই মুহূর্তে ভারতে অর্থনৈতিক মন্দার সেরকম কোনো আশঙ্কাই নেই। অর্থনৈতিক সংকট সব থেকে বেশি আকার ধারণ করতে পারে UK তে। এখানে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা রয়েছে ৭৫ শতাংশ। এরপর তালিকায় নাম আছে নিউজিল্যান্ডের। যেখানে অর্থনৈতিক সংকটের সম্ভাবনা রয়েছে ৭০ শতাংশ। তালিকাতে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আমেরিকা। যেখানে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা ৬৫ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, যদি আমেরিকার মতো শক্তিশালী রাষ্ট্রের এরকম পরিস্থিতি হয় তাহলে তার প্রভাব গোটা বিশ্বে পড়বে।

Recession in developed nations in 2023: আরও যে দেশগুলি রয়েছে সেই তালিকায়

তালিকাতে আরো অনেক উন্নত দেশের নাম আছে যেমন, জার্মানি, ইতালি এবং কানাডায় অর্থনৈতিক মন্দার সম্ভাবনা হলো ৬০ শতাংশ। আর, ফ্রান্সের সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ, দক্ষিণ আফ্রিকার সম্ভাবনা রয়েছে ৪৫ শতাংশ। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ায় অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা রয়েছে ৪০ শতাংশ, রাশিয়ার ৩৭.৫ শতাংশ, জাপানের ৩৫ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়ার ৩০ শতাংশ এবং মেক্সিকোতে অর্থনৈতিক মন্দা আসার সম্ভাবনা রয়েছে ২৭.৫ শতাংশ।

অন্যদিকে, স্পেনের ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ, সুইজারল্যান্ডের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ এবং ব্রাজিলে হলো ১৫ শতাংশ। এর পাশাপাশি, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চিনে এই বছরে অর্থনৈতিক মন্দা আসার আশঙ্কা রয়েছে ১২.৫ শতাংশ। সৌদি আরবে ৫ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়ায় ২ শতাংশ অর্থনৈতিক মন্দা আসার আশঙ্কা রয়েছে।


Recession বা মন্দা সম্পর্কে আরও জানতে পড়তে পারেন উইকিপিডিয়ার এই পাতাটি

এই রকম আরো খবর পেতে চোখ রাখুন বেঙ্গলি নিউজ ৩৬৫ এর পাতায়।

]]>
https://bn365.techiteasy.in/probability-of-recession-in-india-in-2023/feed/ 0 3359
Exchange ₹2000 Notes: কিভাবে বদলে নেবেন বাতিল ২০০০ টাকার নোট? জেনে নিন RBI এর নিয়ম https://bn365.techiteasy.in/demonetisation-2023-how-to-exchange-2000-notes/ https://bn365.techiteasy.in/demonetisation-2023-how-to-exchange-2000-notes/?noamp=mobile#respond Sat, 20 May 2023 18:27:29 +0000 https://bn365.techiteasy.in/?p=3276 আবার ফিরে এলো সাড়ে ৬ বছর আগের স্মৃতি। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (RBI) তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হলো যে তারা নতুন করে আর ₹২০০০ টাকার নোট ছাপবে না। ৩০ শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে আপনার কাছে থাকা ₹২০০০ মূল্যের সব ব্যাঙ্কনোট বদলে নিতে হবে (Exchange ₹2000 Notes)। কিন্তু কিভাবে? কি কি নিয়ম রয়েছে? জেনে নিন এই প্রতিবেদন থেকে।

২০১৬ সালের সাথে এবারের নোটবন্দীর পার্থক্য / 2016 vs. 2023 Demonetisation

কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৬ সালের ৮ ই নভেম্বর রাতারাতি বাতিল করে দিয়েছিল তখনকার বাজার চলতি ভারতীয় মুদ্রার সবথেকে বড় দুইটি নোট, ₹৫০০ এবং ₹১০০০। অনেকটা একই রকম ভাবে এবার বাতিল হয়ে গেল সাড়ে ছয় বছর আগে চালু হওয়া গোলাপি রঙের নতুন ₹২০০০ টাকার নোট। তবে আগের বারের থেকে এইবারের নোটবন্দী বা Demonetisation এর কিছু পার্থক্য রয়েছে।

গতবার ₹৫০০ এবং ₹১০০০ এর ব্যাঙ্কনোটগুলি সরাসরি অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছিল প্রথমেই, কিন্তু এবার আরবিআই এর ঘোষণার পরেও ₹২০০০ এর নোট বৈধ থাকবে। ২০১৬ সালে ₹৫০০ এবং ₹১০০০ এর নোট বদলানোর জন্যে ৫০ দিনের সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে, এবার ২০০০ টাকার নোট বদলানোর (Exchange ₹2000 Notes) জন্যে প্রায় ১৩০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে, যা ২৩ শে মে থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে ৩০ শে সেপ্টেম্বর।

Demonetisation 2016: Queue in front of banks and ATMs / ব্যাঙ্ক ও এটিএম-এর সামনে লাইন
Demonetisation 2016: Queue in front of banks and ATMs / ব্যাঙ্ক ও এটিএম-এর সামনে লাইন

জল্পনা চলছিল দীর্ঘদিন ধরে

আসলে জল্পনা চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। ১৯ শে মে শুধু সেই জল্পনায় সীলমোহর পড়লো এবং Demonetisation 2023 চূড়ান্ত হলো। তবে বাজারে থাকা সমস্ত ₹২০০০ টাকার নোট রাতারাতি অবৈধ হয়ে যাচ্ছে না। সরকার পক্ষ থেকে জনগণকে আগামী ৩০ শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ₹২০০০ টাকার নোটে লেনদেনকে বৈধ বলে গণ্য করা হবে এবং মানুষ তার পার্শ্ববর্তী যে কোন ব্যাংকের যেকোনো শাখা থেকে ওই ₹২০০০ টাকার নোট বদলে (Exchange ₹2000 Notes) অন্য নোট নিয়ে আসতে পারবেন অথবা ব্যাংকে ওই নোট জমা করতে পারবেন।

আশঙ্কার চোরা স্রোত

ব্যাংকে টাকা জমা করার ক্ষেত্রে কোনো উর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া না হলেও ₹২০০০ টাকার নোট বদলে (Exchange ₹2000 Notes) দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি ঊর্ধ্বসীমা বেধে দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে একজন গ্রাহক একদিনে ₹২০০০০ (কুড়ি হাজার) টাকা পর্যন্ত ₹২০০০ টাকার নোট বদলে নিয়ে যেতে পারবেন

তবে প্রবাদ আছে, ঘরপোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলেই ভয় পায়। সাধারণ মানুষের অবস্থাও ঠিক তেমনই হয়েছে। গতবারের নোট বন্দি নিয়ে বহু মানুষেরই অভিজ্ঞতা মোটেই সুখকর নয়। তাই Demonetisation 2023 এর কারণেও মানুষের মধ্যে একটি চোরা আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। তবে আগের বারের তুলনায় এবারের নোটবন্দীর প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ আলাদা এবং সাধারণ মানুষের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনায় অনেক কম।

কি করবেন সাধারণ মানুষ?

অনেকেই ভাবছেন Demonetisation 2023 এর ফলে আবারও কি এটিএম-এর সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হবে বা ভোর বেলা থেকে ব্যাংকগুলোর সামনে হত্যে দিয়ে বসে থাকতে হবে? তারপরও ব্যাংক যদি ₹২০০০ টাকার নোট নিতে অস্বীকার করে সেক্ষেত্রে কি করনীয় থাকবে? তাহলে কিভাবে বদল করবেন ২০০০ টাকার নোট (Exchange ₹2000 Notes)? সমস্ত বিষয় খোলাসা করে আরবিআই থেকে একটি গাইডলাইন জারি করা হয়েছে।

ব্যাংক টাকা নিতে অস্বীকার করলে কি করবেন?

আরবিআই জানিয়েছে কোন ব্যাংক যদি ৩০ শে সেপ্টেম্বরের আগে ₹২০০০ টাকার নোট জমা নিতে বা বদলে (Exchange ₹2000 Notes) দিতে অস্বীকার করে সেক্ষেত্রে সাথে সাথে ওই ব্যাংকেরই আধিকারিকদের কাছে অভিযোগ জানাতে হবে।

অভিযোগ জানানোর এক মাসের মধ্যেও যদি ব্যাংক থেকে কোন সুরাহা না করে সে ক্ষেত্রে অভিযোগ জানাতে হবে আরবিআই এর ইন্ডিগ্রেটেড ওম্বাডসম্যান স্কিম ২০২১-এর আওতায় থাকা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম পোর্টালের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট rbi.org.in তে গিয়ে অভিযোগ জানানো যাবে। ২০২১ সালের ১২ ই নভেম্বর এই ইন্ডিগ্রেটেড ওম্বাডসম্যান স্কিম পরিষেবাটি চালু করেছে আরবি আই। এর মাধ্যমে আরবিআই গ্রাহকদের কাছ থেকে ব্যাঙ্কের পরিষেবা সংক্রান্ত অভিযোগ শোনে এবং সেই মোতাবেক সমাধানসূত্র বের করার চেষ্টা করে। যেহেতু ২০০০ টাকার নোট বৈধ থাকছে তাই আরবিআই এর কথা অনুযায়ী এটি “Demonetisation” নয়, বরং “Withdrawal”।

২০০০ টাকার নোট কিভাবে বদলে নেবেন? জেনে নিন আরবিআই-এর গাইডলাইন /  How to Exchange ₹2000 Notes? - RBI Guideline
২০০০ টাকার নোট কিভাবে বদলে নেবেন? জেনে নিন আরবিআই-এর গাইডলাইন / How to Exchange ₹2000 Notes? – RBI Guideline

কি জানালো আরবিআই?

তবে ব্যাংক বাদেও গ্রাহকরা ইচ্ছে করলে সারা দেশব্যাপী আরবিআই এর ১৯ টি আঞ্চলিক অফিস থেকেও ২০০০ টাকার নোট বদলে (Exchange ₹2000 Notes) নিতে পারবেন। মানুষের মধ্যে যেন কোন ভুল বার্তা না পৌঁছয় তা নিরসনের জন্য আরবিআই পক্ষ থেকে একটি গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে। গাইড লাইনটি সংক্ষেপে নিচে দেওয়া হল।

কিভাবে ₹২০০০ এর নোট বদলে নেবেন? / How to Exchange ₹2000 Notes? – RBI Guideline

১) প্রাথমিকভাবে, সেই সময় প্রচলিত সমস্ত ₹৫০০ এবং ₹১০০০ ব্যাঙ্কনোটের আইনি স্বীকৃতি প্রত্যাহারের পরে দ্রুত দেশের অর্থনীতিতে মুদ্রার প্রয়োজন মেটাতে RBI আইন, ১৯৩৪ এর ধারা ২৪(১) এর অধীনে ২০১৬ সালের নভেম্বরে ₹২০০০ মূল্যের ব্যাঙ্কনোট চালু করা হয়েছিল। যখন অন্যান্য মূল্যের ব্যাঙ্কনোট পর্যাপ্ত পরিমাণে বাজারে উপলব্ধ হওয়া শুরু হল, তখন ₹২০০০ এর ব্যাঙ্কনোট চালু করার প্রয়োজনীয়তা পূরণ হয়েছিল। সেই কারণে, ২০১৮-১৯ সালে ₹২০০০ এর ব্যাঙ্কনোটগুলি ছাপানো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

২) দেশে সব ₹২০০০ মূল্যের ব্যাঙ্কনোটের প্রায় ৮৯% মার্চ ২০১৭ এর আগে ইস্যু করা হয়েছিল এবং সেই নোটগুলি তাদের আনুমানিক ৪-৫ বছরের আয়ু বা মেয়াদের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সমগ্র দেশে প্রচলিত থাকা এই ₹২০০০ ব্যাঙ্কনোটের মোট মূল্য ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ তারিখে সর্বোচ্চ ₹৬.৭৩ লক্ষ কোটি ছিল, যা দেশে প্রচলিত সমস্ত ব্যাঙ্কনোটের মোট মূল্যের প্রায় ৩৭.৩%। পরবর্তীকালে তা কমে ৩১ শে মার্চ, ২০২৩-এ ₹৩.৬২ লক্ষ কোটিতে দাঁড়িয়েছে , যা প্রচলিত সমস্ত ব্যাঙ্কনোটের মোট মূল্যের মাত্র ১০.৮%।

এটাও লক্ষ্য করা গেছে যে এই ₹২০০০ মূল্যের ব্যাঙ্কনোট সাধারণত লেনদেনের জন্য খুব বেশি ব্যবহার করা হয় না। উপরন্তু, অন্যান্য মূল্যের ব্যাঙ্কনোটের মজুদ জনসাধারণের মুদ্রার প্রয়োজন মেটানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে।

৩) এই আলোচনার ভিত্তিতে এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ‘ক্লিন নোট পলিসি’-এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে, ২০০০ টাকার নোটকে পর্যায়ক্রমে বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

৪) ২০০০ টাকার নোট আপাতত বৈধ বা Legal Tender থাকবে

৫) এটা লক্ষনীয় বিষয় যে অনেকটা একইরকমভাবে ২০১৩-২০১৪ সালে আরবিআই সেই সময় প্রচলিত বেশকিছু পুরোনো ব্যাঙ্কনোট প্রত্যাহার করে নিয়েছিল।

৬) আরবিআই -এর সিদ্ধান্ত অনুসারে, গ্রাহকরা মূল ব্যাঙ্ক বা ব্যাঙ্কের যে কোনও শাখায় ₹২০০০ ব্যাঙ্কনোট জমা করতে পারেন এবং বদলে অন্য যে কোনো নোট নিতে পারেন অথবা সরাসরি ব্যাংক একাউন্টে জমা করতে পারেন।

৭) জনসাধারণ এবং ব্যাংক, উভয়ের সুবিধা নিশ্চিত করতে এবং ব্যাংকের উপর অতিরিক্ত চাপ বা কোনো সমস্যা এড়াতে, এই নোট বদলের (Exchange ₹2000 Notes) কার্যক্রম ২৩ শে মে, ২০২৩ থেকে ব্যাঙ্কের শাখাগুলিতে শুরু হবে এবং এক ব্যক্তি প্রতিদিন ₹২০০০০ (কুড়ি হাজার) টাকা পর্যন্ত ২০০০ টাকার নোট ব্যাংকে জমা করতে পারেন

৮) জনসাধারণের সুবিধার জন্য, ব্যাঙ্কগুলিতে এই ₹২০০০ ব্যাঙ্কনোটগুলি বিনিময় করার সময়সীমা ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

৯) ২৩ শে মে, ২০২৩ থেকে, RBI-এর ১৯ টি আঞ্চলিক অফিসগুলিতেও (ROs) ₹২০০০ ব্যাঙ্কনোট বিনিময়ের সুযোগ দেওয়া হবে।

১০) ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সমস্ত ব্যাঙ্ককে ₹২০০০ এর নোট গ্রাহকদের দেওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে।

১১) জনসাধারণকে বলা হয়েছে তারা যেন নোট বদলের এই ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত সময়সীমার সদ্ব্যবহার করে তাদের কাছে থাকা সমস্ত ₹২০০০ নোট বদলে নেন (Exchange ₹2000 Notes)।


১৯ শে মে প্রকাশিত RBI এর প্রেস রিলিজ দেখতে চাইলে ক্লিক করুন এখানে

এইরকম আরো খবর পেতে চোখ রাখুন বেঙ্গলি নিউজ ৩৬৫ এর পাতায়।

]]>
https://bn365.techiteasy.in/demonetisation-2023-how-to-exchange-2000-notes/feed/ 0 3276
Messenger App Ban: নিষিদ্ধ ১৪টি মেসেঞ্জার অ্যাপ, আপনার ফোনে নেই তো? https://bn365.techiteasy.in/14-messenger-app-banned-in-india/ https://bn365.techiteasy.in/14-messenger-app-banned-in-india/?noamp=mobile#respond Tue, 09 May 2023 17:03:59 +0000 https://bn365.techiteasy.in/?p=3138 সম্প্রতি সরকার ১৪টি মেসেঞ্জার অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে (Messenger app banned)। জানলে অবাক হবেন, এর সাথে পাকিস্তান ও সন্ত্রাসবাদের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে।

ভারতের থেকে পাকিস্তানের পিছিয়ে পড়ার কারণ

পাকিস্তান তার জন্ম লগ্ন থেকেই দু’দেশের বর্ডারে অস্থিরতা তৈরীর প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। একসাথে স্বাধীন হয়ে ভারত যেখানে মঙ্গলে পৌঁছে গিয়েছে অন্যদিকে পাকিস্তান ত্রাণের ঝুলি হাতে নিয়ে আইএমএফ থেকে চীন, চীন থেকে সৌদি আরব হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রাপ্ত ত্রানের টাকা দিয়ে পাকিস্তান নিজের দেশের উন্নয়নমূলক কাজকর্ম করতে সার্বিকভাবে ব্যর্থ, একথা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। ঋণ এবং ত্রাণ বাবদ প্রাপ্ত টাকার সিংহভাগে তারা খরচ করে সামরিক খাতে এবং সামরিক কর্মকর্তাদের বিলাসবহুল জীবন যাপনের পিছনে। বাকি টাকা যদি কিছু বেঁচে থাকে তা যায় ভর্তুকির খাতে।

পাকিস্তানের নিম্নমুখী অর্থনীতি

মেসেঞ্জার অ্যাপগুলি নিষিদ্ধ (Messenger app banned) হওয়ার পেছনে পাকিস্তান ও সন্ত্রাসবাদের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। ভাবছেন কিভাবে? পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলি ভোটে জেতার ক্ষেত্রে সেই ভারত বিরোধীতার তাসকেই পুঁজি করে চলেছে আজন্মকাল ধরে। সন্ত্রাসবাদ আর ভারত বিরোধিতাই হল পাকিস্তানের একমাত্র অঘোষিত জাতীয় নীতি – এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। বছরের পর বছর ধরে মানবতা ও মানব সভ্যতার উন্নতির এই উল্টো পথে হেঁটে পাকিস্তান আজ সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে। পাকিস্তানের অর্থনীতি যে তিমিরে সেই তিমিরেই রয়ে যায়। দিনের শেষে বঞ্চিত থেকে যায় সাধারণ জনগণ। আর ফুল-ফেঁপে উঠতে থাকে রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী এবং সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা।

মেসেঞ্জার অ্যাপগুলির সাথে সন্ত্রাসবাদের সম্পর্ক

সীমান্তের ওপার থেকে ক্রমাগত সন্ত্রাসবাদে মদত দিয়ে এবং জঙ্গি কার্যকলাপে প্রশ্রয় দিয়ে পাকিস্তান সীমান্ত লাগোয়া কাশ্মীর অঞ্চলের রাজনৈতিক পরিবেশকে নষ্ট করে চলেছে পাকিস্তান। সীমান্তের ওপার থেকে কাঁটাতার পেরিয়ে জঙ্গি প্রবেশ এবং তাদের মনিটরিং করার জন্য নানা পন্থা অবলম্বন করে থাকে পড়শি দেশটি। সেই কাজে তারা সাহায্য নেয় বেশ কিছু টেকনোলজির। তেমনই সম্প্রতি এপারের জঙ্গি কার্যকলাপ চালিয়ে যাওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি মেসেঞ্জার অ্যাপ্লিকেশনকে তারা ব্যবহার করছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।

সীমান্তের এপার-ওপার যোগাযোগে জঙ্গিদের সাহায্য করার কারণেই এই মেসেঞ্জার অ্যাপগুলি নিষিদ্ধ (Messenger App Ban) করা হল
সীমান্তের এপার-ওপার যোগাযোগে জঙ্গিদের সাহায্য করার কারণেই এই মেসেঞ্জার অ্যাপগুলি নিষিদ্ধ (Messenger app ban) করা হল

মেসেঞ্জার অ্যাপগুলি নিষিদ্ধ (Messenger app ban) করার কারণ

সব জঙ্গি কার্যকলাপ রুখতে এবার বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করলো কেন্দ্র। পাকিস্তান থেকে জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলে অনুপ্রবেশকারী জঙ্গিদের যোগাযোগ বন্ধ করার জন্যে কেন্দ্রীয় সরকার একবারে ১৪টি ম্যাসেঞ্জার অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করল (14 Messenger apps banned)। এইসব অ্যাপগুলোর মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে জম্মু-কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে খুব সহজেই যোগাযোগ রেখে চলত। কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক এবং পারস্পরিক যোগাযোগ অনেকাংশেই ছিন্ন করা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

কোন কোন অ্যাপ রয়েছে তালিকায় (List of Apps Banned)

মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে নিষিদ্ধ হওয়া অ্যাপগুলির তালিকায় রয়েছে-

  1. ক্রিপভাইজার
  2. এনিগমা
  3. সেফউইস
  4. উইকরমি
  5. মিডিয়াফায়ার
  6. ব্রায়ার
  7. বিচ্যাট
  8. নন্দবক্স
  9. কনিয়ন
  10. আইএমও
  11. এলিমেন্ট
  12. সেকেন্ড লাইন
  13. ঝাঙ্গি
  14. থ্রিমা

এইসব মেসেঞ্জার অ্যাপগুলি দ্বারা সরকারের নজর এড়িয়ে তথ্য আদান প্রদান চলত। তাই নিরাপত্তা এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই মোবাইল অ্যাপগুলিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার জন্য সুপারিশ করেছিল। এবার সেই সুপারিশকে মান্যতা দিয়েই এই ১৪টি মেসেঞ্জার অ্যাপকে নিষিদ্ধ (14 Messenger app banned) ঘোষণা করা হলো।


ভারতে ইন্টারনেট সেন্সরশিপ সম্বন্ধে জানতে পড়ুন উইকিপিডিয়ার এই পাতা

এই রকম আরো খবর পেতে চোখ রাখুন বেঙ্গলি নিউজ ৩৬৫ এর পাতায়।

]]>
https://bn365.techiteasy.in/14-messenger-app-banned-in-india/feed/ 0 3138
Sharda Peeth: ভক্তদের জন্য PoK তে “সারদা পিঠ” করিডোর খোলা হচ্ছে https://bn365.techiteasy.in/pok-sharda-peeth-corridor-to-open-soon/ https://bn365.techiteasy.in/pok-sharda-peeth-corridor-to-open-soon/?noamp=mobile#respond Mon, 27 Mar 2023 14:32:20 +0000 https://bn365.techiteasy.in/?p=2550 কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেছেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার কর্তারপুর করিডরের আদলে সারদা পীঠ (Sharda Peeth) খোলার জন্য উদ্যোগ নেবে। কোথায় এই “সারদা পীঠ”? এই সারদা পীঠ হিন্দুদের কাছে একটি অতি পবিত্র ধর্মীয় স্থান। এই পবিত্র পিঠস্থানটি নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর জম্মু ও কাশ্মীরের কুপোয়ারা জেলার তেতওয়াল গ্রাম জুড়ে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের (Pakistan Occupied Kashmir / PoK) নীলাম উপত্যকায় অবস্থিত।

কি বলছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও “সেভ সারদা কমিটি” (Save Sharda Committee) কাশ্মীরের আহ্বায়ক রবীন্দ্র পণ্ডিতের সাথে আলাপ-আলোচনার পর তার একটি পরামর্শ এর কথা তুলে ধরেছেন। তার মতে, সারদা পীঠ করিডরকে পাকিস্তানের কর্তারপুর করিডর এবং নানকানা সাহেব গুরুদ্বারার আদলে খুলে দেওয়া উচিত।

সারদা পীঠ (Sharda Peeth) এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব

অমিত শাহ মন্তব্য করেছেন যে, সারদা পীঠ হল ভারতের ধর্ম শিক্ষা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি সুন্দর মিলনস্থল। যার ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। কেন্দ্রীয় সরকার তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভক্তবৃন্দের জন্য কর্তারপুর করিডর এর মতই সারদা পীঠ করিডোর (Sharda Peeth Corridor) খুলে দেবার সম্পূর্ণ চেষ্টা করবে, এমনটাই খবর।

অমিত শাহ: "সারদা পীঠ (Sharda Peeth) হল ভারতের ধর্ম শিক্ষা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি সুন্দর মিলনস্থল।"
অমিত শাহ: “সারদা পীঠ (Sharda Peeth) হল ভারতের ধর্ম শিক্ষা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি সুন্দর মিলনস্থল।”

ঐতিহ্যপূর্ণ ধর্মীয় স্থানগুলিতে ভিসা-মুক্ত তীর্থযাত্রা

কর্তারপুর করিডরটি ২০১৯ সালে উদ্বোধন করা হয়েছিল। এই স্থানে আছে দুটো গুরুত্বপূর্ণ শিখ উপাসনালয়। প্রথমটি হল পাকিস্তানের কর্তারপুরের গুরুদ্বারা দরবার সাহিব এবং আরেকটি হলো পাঞ্জাবের গুরুদাসপুর জেলার ডেরা বাবা নানক। এই সংযোগস্থল হল তীর্থযাত্রীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এখানে তাদের ভিসা-মুক্ত ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয়। সারদা পিঠ করিডোর (Sharda Peeth Corridor) এর ক্ষেত্রেও সরকারের একই চিন্তাভাবনা রয়েছে।

এই পীঠের পুনঃনির্মাণ?

সারদা সভ্যতার আবিষ্কার এবং সারদা সভ্যতার লিপির প্রচার একমাত্র সম্ভব এই সারদা পিঠের পুনঃনির্মাণের মাধ্যমে। সত্যিই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কোন এক সময় এই স্থানকে ভারতের বিভিন্ন জ্ঞানী-গুণী পন্ডিতেরা ধর্মগ্রন্থ ও আধ্যাত্মিক পাঠের কেন্দ্রস্থান বলে মনে করতেন। জ্ঞানের সন্ধানে বহু দূর থেকে পন্ডিতেরা এখানে আসতেন। এই পীঠ খুলে যাওয়ার ফলে জম্মু ও কাশ্মীর তার পুরনো সভ্যতা ও সংস্কৃতি আবার ফিরে পাবে।

সারদা দেবী মন্দিরের উদ্বোধন

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মঙ্গলবার কাশ্মীরের কুপওয়ারার সারদা দেবী মন্দিরের উদ্বোধন করেন। তিনি আরো বলেন যে এই পীঠের স্থাপত্য ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে সম্পূর্ণ পৌরাণিক শাস্ত্রকে মাথায় রেখে। ২৪ শে জানুয়ারি শৃঙ্গেরী মঠ দ্বারা সারদা মায়ের মূর্তিটি দান করা হয়েছিল।

সরকারের উদ্যোগ

বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতায় মোট ১২৩ টি ধর্মীয় এবং সুফি স্থান পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে। প্রথম পর্যায়ে যে ৩৫ টি ধর্মীয় স্থান মেরামতের কাজ চলেছে তাতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬৫ কোটি টাকা। এছাড়াও, একত্রিশটিরও বেশি মেগা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ৭১ টি ধর্মীয় ও সুফি সাধকদের স্থান চিহ্নিত করে। এই পুনরুদ্ধার এর ফলে পুরোনো হারিয়ে যাওয়া ধর্ম ও সংস্কৃতি ও শিক্ষা আবার ফিরে আসতে চলেছে। সারদা পিঠ করিডোর (Sharda Peeth Corridor) খোলার মাধ্যমে সরকার হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস পুনরুদ্ধার করতে চাইছে।


সারদা পিঠ করিডোর (Sharda Peeth Corridor) সম্বন্ধে আরো জানতে পড়ুন উইকিপিডিয়ার এই পাতাটি

এই ধরনের আরো খবর পেতে চোখ রাখুন বেঙ্গলি নিউজ ৩৬৫ এর পাতায়।

]]>
https://bn365.techiteasy.in/pok-sharda-peeth-corridor-to-open-soon/feed/ 0 2550
Sri Lanka in India Map: স্বাধীন দেশ শ্রীলঙ্কাকে কেন ভারতের মানচিত্রে সর্বদা দেখানো হয়? https://bn365.techiteasy.in/why-is-sri-lanka-shown-in-india-map/ https://bn365.techiteasy.in/why-is-sri-lanka-shown-in-india-map/?noamp=mobile#respond Sun, 26 Mar 2023 19:00:09 +0000 https://bn365.techiteasy.in/?p=2474 আমরা যখনই কোন দেশের মানচিত্র দেখি তখন শুধু সেই দেশটিকে দেখতে পাই। কিন্তু ভারতের মানচিত্রের সাথে সর্বদা আমাদের চোখে পড়ে স্বাধীন দেশ শ্রীলঙ্কাকে (Sri Lanka is always shown in India map)। ভারতের মানচিত্র দেখার সময় আমরা প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তান, চীন, নেপাল, ভুটান, মায়ানমার কিংবা বাংলাদেশের নাম থাকলেও সেগুলোকে মানচিত্রে মধ্যে দেখানো হয় না। তাহলে শ্রীলংকার ক্ষেত্রে কেন এই ব্যাতিক্রম?

কেন দেখা যায় শ্রীলংকাকে ভারতের মানচিত্রে? / Why is Sri Lanka Shown in India Map?

ভারতের মানচিত্র দেখার সময় অনেকেই নিচে শ্রীলঙ্কাকে দেখতে পাবেন। যদিও শ্রীলঙ্কা একটি স্বাধীন দেশ তাহলে কেন ভারতের মানচিত্রে তাকে দেখতে পাওয়া যায়? এই নিয়ে হাজার প্রশ্ন মানুষের মনে ঘোরাফেরা করে। কেউ হয়তো ভাবেন শ্রীলঙ্কার উপরে ভারতের কোন সামরিক অধিকার আছে তাই ভারতের মানচিত্রে শ্রীলঙ্কাকে দেখা যায়। কিংবা মানচিত্র নিয়ে হয়তো দুই দেশের মধ্যে কোনরকম চুক্তি রয়েছে হয়তো। ব্যাপারগুলো আসলে মোটেই এরকম নয়। এর পেছনে লুকিয়ে আছে অনেক বড় কাহিনী। জানতে চান কি সেই কাহিনী?

ভারতের মানচিত্রে শ্রীলঙ্কাকে সবসময় দেখানো হয় / Sri Lanka is always shown in India map
ভারতের মানচিত্রে শ্রীলঙ্কাকে সবসময় দেখানো হয় / Sri Lanka is always shown in India map

“Ocean Law” এর বিস্ময়কর কাহিনী

শ্রীলংকার ভারতের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্তির (The inclusion of Sri Lanka in India Map) পেছনে লুকিয়ে আছে একটি বিশেষ কারণ সেটি হল- একটি আইন যার নাম হলো “Ocean Law” বা “Law of the Sea”। এই আইন প্রণয়নের জন্য ১৯৫৬ সালে জাতিসংঘ “Conference on the law of the sea” নামে একটি সম্মেলন অনুষ্ঠান করে। জাতিসংঘ বা United Nations (UN) ১৯৫৮ সালে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের ফলাফল ঘোষনা করা হয়। জাতিসংঘের সম্মেলনে সমুদ্র সংক্রান্ত সীমানা নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে একটি মতামত গ্রহণ করা হয়। মোট তিনটি সম্মেলনের আয়োজন করা হয় ১৯৮২ সাল পর্যন্ত। এখানে সমুদ্র সংক্রান্ত আইনকে আন্তর্জাতিকভাবে সম্মান দেওয়া হয়।

কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এই আইনে?

সমুদ্র সম্পর্কিত আইনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, ভারতের মানচিত্রে যেকোনো দেশের বেসলাইন থেকে যেকোনো জায়গায় যদি ২০০ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে থাকে তা দেখানো বাধ্যতামূলক। সমুদ্রের তীরে অবস্থিত যে কোন দেশ এবং তার সীমানা যদি ২০০ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে থাকে তাহলে তা ভারতের মানচিত্রের মধ্যে দেখানো বাধ্যতামূলক। এইভাবেই শ্রীলংকা ভারতের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

“সমূদ্র আইন” এর আওতায় শ্রীলঙ্কা

আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন না ২০০ নটিক্যাল মাইল মানে কি? এর অর্থ হল ৩৭০ কিলোমিটার। ভারতের মানচিত্রের সীমানা থেকে ৩৭০ কিলোমিটার এর মধ্যে থাকা অংশ ভারতের মানচিত্রে দেখানো হয়েছে, সেই কারণেই শ্রীলঙ্কাকেও ভারতের মানচিত্রে দেখানো হয়ে থাকে। জেনে অবাক হবেন যে, ভারতের ধানুশকোডি থেকে শ্রীলঙ্কা দূরত্ব মাত্র ১৮ নটিক্যাল মাইল। এই কারণে ভারতের ম্যাপে শ্রীলঙ্কার গুরুত্ব অপরিসীম। আবার অন্যান্য প্রতিবেশী দেশ যেমন চীন, মায়ানমার, পাকিস্তান এই আইনের মধ্যে পড়ে না তাই জন্য ভারতের মানচিত্রে এদেরকে দেখতে পাওয়া যায় না।


“Ocean Law” বা “Law of the Sea” সম্বন্ধে আরো জানতে পড়ুন উইকিপিডিয়ার এই পাতাটি

এই ধরনের আরো খবর জানতে অবশ্যই আপনাকে চোখ রাখতে হবে বেঙ্গলি নিউজ ৩৬৫ এর পেজে।

]]>
https://bn365.techiteasy.in/why-is-sri-lanka-shown-in-india-map/feed/ 0 2474