বেশ কয়েক বছর আগে পশ্চিমবঙ্গে গাড়ির কারখানা করার স্বপ্ন নিয়ে এসেছিল টাটা মোটরস্ (Tata Motors)। কিন্তু বিভিন্ন কারণে সিঙ্গুর থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে গুজরাতের সানন্দে কারখানা গড়া হয়েছিল। সেই সানন্দ এখন আগামী দিনের ভারতের ভবিষ্যৎ। আর সিঙ্গুর ছিল যে তিমিরে, রয়েছে সেই তিমিরেই।
টাটা মোটরস্ (Tata Motors) তাদের ন্যানো গাড়ির প্রোজেক্ট সানন্দে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে সেখানে অন্যান্য শিল্পসহ অনুসারী শিল্প মিলিয়ে তৈরি হয়েছে প্রচুর কর্মসংস্থান। সানন্দে টাটা শুধু নিজের গাড়ির কারখানা খুলেই ক্ষান্ত হয়নি। তৎসংলগ্ন ফোর্ড মোটরের কারখানা অধিগ্রহণ করেছিল টাটা কোম্পানি। এবার সেখানেই তৈরি হতে চলেছে লিথিয়াম সেল এর কারখানা।
টাটা মোটরস্ (Tata Motors)-এর লগ্নি
এই কারখানাটি তৈরিতে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা লগ্নীর সম্ভাবনা রয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে সারা বিশ্ব জুড়ে জ্বালানি তেলের দাম ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। যার কারনে মানুষ এখন ধীরে ধীরে বিকল্প জ্বালানি ব্যাবহারের দিকে ঝুকছে। আর বিকল্প হিসাবে সবার আগে উঠে এসেছে বিদ্যুৎশক্তি। এই কারণে মানুষের চাহিদার কথা মাথায় রেখে কোম্পানিগুলি বৈদ্যুতিক গাড়ি বানানো শুরু করেছে। বর্তমানে, ভারতের বাজারে উপলব্ধ গাড়ির মাত্র ১ শতাংশ হলো বৈদ্যুতিক গাড়ি। তবে, ভবিষ্যতে তা দ্রুত গতিতে বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাজার ধরতে টাটা মোটরস্ (Tata Motors)-এর উদ্যোগ
আর ভারতের রাস্তায় এখনো পর্যন্ত বৈদ্যুতিক গাড়ির সংখ্যা খুবই নগন্য। রাস্তায় বৈদ্যুতিক যাত্রীবাহী ৪ চাকার গাড়ির পরিমাণ বৈদ্যুতিক ২ চাকার গাড়ির তুলনায় অনেকটাই কম। তার একটি অন্যতম কারন দেশের বাজারে যথেষ্ট পরিমানে বৈদ্যুতিক গাড়ির যোগান নেই। অনেকক্ষেত্রে যোগান থাকলেও দাম খুব বেশি। তাই এবার কোমর বেঁধে মাঠে নামতে চলেছে টাটা মোটরস্ (Tata Motors)। ভারতীয় বাজারকে ধরে রাখতে উদ্যোগ নিয়েছেন তারা। ভবিষ্যতে ভারতের বাজারে বৈদ্যুতিক গাড়ি ও যন্ত্রাংশের বিপুল চাহিদা হতে পারে।
পড়ুন -> Largest Company in India: দেশের সেরা ১০ কোম্পানির তালিকা, বড় চমক রইল
আগ্রাতাস এনার্জি স্টোরেজ সলিউশন ও গুজরাট সরকার
এই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই তারা বৈদ্যুতিক গাড়ির যন্ত্রাংশের যোগানের শৃঙ্খল গড়ে তুলতে উদ্যোগ নিয়েছেন। তাই গুজরাটে বৈদ্যুতিক গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ও উপাদানের কারখানা গড়ে তুলতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে টাটা গোষ্ঠীর আগ্রাতাস এনার্জি স্টোরেজ সলিউশন ও গুজরাট সরকার। আগামী ৩ বছরের মধ্যে এটি চালু হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রথমদিকে কারখানাটির উৎপাদন ক্ষমতা হবে মাত্র কুড়ি গিগাওয়াট।
দ্বিতীয় পর্যায়ে তা সম্ভবত দ্বিগুণ হতে পারে। গুজরাতের এক আধিকারিক-এর মতে, এই কারখানা হবে ভারতের ভবিষ্যৎ। বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির সহায়ক পরিবেশ দেবে এই কারখানা এবং হয়ে উঠবে ভারতের ভবিষ্যৎ।
এই ধরনের আরও তথ্য পেতে চোখ রাখুন বেঙ্গলি নিউজ ৩৬৫ এর পাতায়।