পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া, কালনা, বর্ধমান সদর উত্তর ও বর্ধমান সদর দক্ষিণ মহকুমা এলাকার সংযুক্ত তফসিলে বর্ণিত বিভিন্ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চুক্তিভিত্তিক আশা কর্মী (Asha Karmi) নিয়োগের একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। যোগ্যতা, বেতন, আবেদন পদ্ধতি ইত্যাদি নিয়োগ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নীচে দেওয়া হলো।
সূচিপত্র (Table of Contents)
পদের নাম
আশা কর্মী।
শুন্যপদ
১৭৪টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা
প্রার্থীকে অবশ্যই মাধ্যমিক বা সমতুল্য পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে হবে।
অন্যান্য যোগ্যতা
কেবলমাত্র বিবাহিতা, বিধবা ও আইনত ভাবে বিবাহ বিচ্ছিন্না মহিলারাই আবেদন করতে পারবেন।
প্রার্থীকে অবশ্যই ভারতের নাগরিক হতে হবে।
প্রার্থীকে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট গ্রামের বাসিন্দা হতে হবে।
গ্রেড-১ এবং গ্রেড-২ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য হয়ে হয়ে থাকতে হবে।

আবেদন পদ্ধতি
অফলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। নীচে দেওয়া লিঙ্ক থেকে আবেদন ফর্মটি ডাউনলোড করে সেটি প্রিন্ট করতে হবে এবং নির্ভুলভাবে ফর্মটি পূরণ করতে হবে। এবং নোটিশে উল্লেখিত ডকুমেন্টসগুলি যোগ করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সঠিক ঠিকানায় জমা করতে হবে। খুব ভালোভাবে সমস্ত তথ্য প্রদান করুন এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টগুলি অ্যাটাচ করে বিডিও অফিসে দিন জিনিষগুলির মধ্যে জমা দেওয়া হবে।
এই প্রতিবেদনে থেকে আবেদন করার সম্পূর্ণ পদ্ধতি জেনে নিয়ে তারপর একদম শেষে দেওয়া লিংক থেকে আশা কর্মী নিয়োগের সরকারী বিজ্ঞপ্তি (Asha Karmi Recruitment Notification) ও ফর্ম (Form) ডাউনলোড করে, ভালো করে দেখে নিয়ে তবেই ফর্ম পূরণ করবেন।
আশা কর্মী আবেদনকারীর বয়সসীমা (Asha Karmi Age Limit)
১লা জানুয়ারি ২০২৩ তারিখ অনুযায়ী আবেদনকারীর বয়স ৩০ বছর থেকে ৪০ বছরের মধ্যে হতে হবে। তবে তপশীলি জাতি ও উপজাতি প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ২২ বছর থেকে ৪০ বছর।
আবেদনপত্র জমা দেওয়ার ঠিকানা
To The SDO & Member Secretary Asha Selection Committee, _____Sub Division, Purba Bardhaman.
আবেদনের শেষ তারিখ (Asha Karmi Application Last Date)
১৫ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
যে সমস্ত নথিপত্র দরখাস্তের সাথে দাখিল করতে হবে
১) নিজের ভোটার কার্ড / রেশন কার্ডের স্ব-প্রত্যায়িত অনুলিপি।
২) মাধ্যমিক বা তার সমতুল্য পরীক্ষার মার্কশীটের স্ব-প্রত্যায়িত অনুলিপি।
২) মাধ্যমিক বা তার সমতুল্য পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ডের স্ব-প্রত্যায়িত অনুলিপি।
৩) তপশীলি জাতি ও উপজাতির উপযুক্ত শংসাপত্রের স্ব-প্রত্যায়িত অনুলিপি।
৪) নিজের দুটি পাসপোর্ট সাইজের ফটো।
৫) ৫ টাকা ডাক টিকিট সহ নিজ ঠিকানা লেখা খাম।
৬) আইনত ভাবে বিবাহের / বিধবা / আইনত ভাবে বিবাহ বিচ্ছিন্নার ক্ষেত্রে স্ব-প্রত্যায়িত নথিপত্র।
আশা কর্মীর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি (Asha Karmi Recruitment Notification) কখনো একসঙ্গে প্রকাশিত হয় না। গ্রাম পঞ্চায়েত ও জেলা ভিত্তিক নিয়োগ অনুসারে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তাই নির্দিষ্টভাবে তারিখ বলা সম্ভব নয়। তারিখ সম্পর্কিত আপনারা সঠিক ধারণা পাবেন জেলা ভিত্তিক নির্দিষ্ট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে।
আশা কর্মীর মাসিক বেতন হতে পারে ৪৫০০ টাকা। এছাড়া তারা বেতন সহ অন্যান্য ভাতাও পাবেন । আশা কর্মীরা ভাতা হিসাবে যা যা পাবে তা নিম্নে বর্ণনা করা হলো।
সরকারি হাসপাতালে প্রত্যেক গর্ভবতী মহিলা সন্তান প্রসব করলে মাথা পিছু পাবেন ৩০০ টাকা করে।
পালস পোলিও প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য প্রত্যেকদিনে ৭৫ টাকা করে পাবেন।
প্রত্যেক ১ বছরের শিশুকে ভ্যাকসিন প্রদান করা হলে পাবেন ১০০ টাকা।
প্রত্যেক ১ বছরের ঊর্ধ্বে ও ২ বছরের কম বয়সের শিশুকে ভ্যাকসিন প্রদান করা হলে পাবেন ৭৫ টাকা।
১.৫ বছর বয়সের প্রতি শিশুর ডিপিটি টিকা প্রদান করা হলে পাবেন ৭৫ টাকা।
৫ বছর বয়সের প্রতি শিশুর ডি টি ভ্যাকসিন প্রদান করা হলে পাবেন ৫০ টাকা।
প্রতিটি সার্ভেতে অংশগ্রহণের জন্য পাবেন ৩০০ টাকা।
প্রতি টিবির পেশেন্ট কে ওষুধ দেওয়ার জন্য পাবেন ১০০০ টাকা।
আশা-কর্মীরা ভল্যান্টিয়ার, বেতনভুক নন। এ ব্যাপারে কোনও দায়বদ্ধতা বা বাদ্ধবাধকতাও নেই সরকারের। বেশির ভাগ রাজ্যই এই পথে হাঁটে না। তাঁদের পারিশ্রমিক বিভিন্ন প্রকল্পের ইনসেন্টিভ থেকে আসে। সব মিলিয়ে বলা যেতে পারে ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা প্রতি মাসে এক এক জন আশা-কর্মী পেয়ে থাকেন। এত কম অর্থে তো নুন আনতে পান্তা ফুরানো আটকানো যায় না, স্বাভাবিক জীবন চলে না। বলছিলেন এক আশা-কর্মী। সারা দিন কাজ করলেও সব কাজ শেষ হয় না। কোনও নির্দিষ্ট বেতন নেই, কোনও স্বাস্থ্যবিমা নেই। WHO সম্মান দিচ্ছে। সরকার বীরাঙ্গনা বলছে। কিন্তু সেই বীরাঙ্গনাদের ঠিক মতো আর্থিক সম্মান দেওয়া হচ্ছে না। এই হচ্ছে তাঁদের সমস্বর। তা ছাড়া, উঠেছে স্থায়ীকরণের দাবিও।
সরকারের নানা ধরনের স্বাস্থ্য প্রকল্পের তথ্য সাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়াই আশা-কর্মীদের কাজ। সেই কাজে তাঁদের প্রশিক্ষিত করে তোলা হয়। এঁরা স্বাস্থ্যকেন্দ্র, উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র, জেলা হাসপাতাল এবং নানা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সুবিধাগুলি যাতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীগুলি পায়, সেই প্রক্রিয়ার অংশ। বলা যেতে পারে, স্বাস্থ্য-ব্যবস্থা এবং এই সব মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করেন এঁরা। স্বাস্থ্যকর্মীদের ভূমিকা কী হবে, তা প্রথম নির্দিষ্ট করা হয় ২০০৫-এ, জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য মিশনে। আশা কর্মী হিসেবে বিবাহিত, বিবাহবিচ্ছিন্ন এবং স্বামীহারা মহিলাদের প্রধানত নেওয়া হয়। বয়সসীমা ২৫ থেকে ৪৫ বছর। কোনও একটি অঞ্চলে কাজ করার জন্য সেইখানকার মহিলাদেরই নেওয়া হয় মূলত। তবে যোগাযোগের দক্ষতা এবং নেতৃত্বের ক্ষমতা রয়েছে, এবং অষ্টম শ্রেণি পাশ– নিযুক্তির মাপকাঠি রয়েছে এমন কয়েকটি।
পার্বত্য, আদিবাসী অঞ্চল অথবা অন্য স্বল্প জনঘনত্বের এলাকায় বসতি পিছু একজন করে আশা-কর্মী নিয়োগ, হাজার জনে একজন আশাকর্মী নিয়োগের লক্ষ্য। এখনও পর্যন্ত ১০.৪ লক্ষ আশা-কর্মী রয়েছেন সারা দেশে। বেশি জনঘনত্বের রাজ্য উত্তরপ্রদেশে ১.৬৩ লক্ষ, বিহারে ৮৯,৪৩৭, মধ্যপ্রদেশে ৭৭,৫৩১ জন আশা-কর্মী রয়েছেন। গোয়া হলো একমাত্র রাজ্য, যেখানে এমন কোনও ভল্যান্টিয়ার নেই।
ডাউনলোড (Download)
আশা কর্মী নিয়োগের সরকারী বিজ্ঞপ্তি : Click here to Download “Asha Recruitment 2023 Notification”
আবেদন করার ফর্ম : Click here to Download Asha Karmi Recruitment Application Form
এরকম আরো খবর পেতে চোখ রাখুন বেঙ্গলি নিউজ ৩৬৫ পাতায়।